দেশ বিদেশ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
উত্তরা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ গ্রেপ্তার ৪
স্টাফ রিপোর্টার
৫ অক্টোবর ২০২৪, শনিবারবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে জোরালো ভূমিকা, শিক্ষার্থী এবং মুদির দোকানি হত্যা মামলায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট মনোয়ার ইসলাম চৌধুরী রবিনকে গ্রেপ্তার করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। গতকাল দুপুরে উত্তরার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন এডভোকেট মনোয়ার উত্তরা এলাকায় আন্দোলন দমন-পীড়নে জোরালো ভূমিকা পালন করেন। তিনি উত্তরা পশ্চিম থানায় ৭টি ও উত্তরা পূর্ব থানায় ৫টি মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি। ডিএমপি’র পল্লবী থানা পুলিশ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ইমন হত্যা মামলায় পল্লবী থানা যুবলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ ওয়াসিমকে গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে পল্লবী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভুক্তভোগী ইমনের মা বাদী হয়ে ২৭শে আগস্ট পল্লবী থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়- গত ৪ঠা আগস্ট বিকালে পল্লবী থানার মিরপুর ১০নং বাস স্ট্যান্ডের পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে সড়কে আরও অনেক ছাত্র-জনতার সঙ্গে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিল মো. ইমন হোসেন আকাশ। এ সময় আন্দোলনরত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার উপর এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ছোড়া গুলিতে ইমন গুরুতর আহত হয়। আহত ইমনকে তার মা আরও লোকজনের সাহায্যে ডা. আজমল হাসপাতাল লিমিটেডে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার ইমনকে মৃত ঘোষণা করেন। মামলাটি তদন্তকালে গোয়েন্দা তথ্য ও ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এ ঘটনায় জড়িত শেখ মোহাম্মদ ওয়াসিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদিকে, বনশ্রী এলাকার মুদির দোকানের কর্মচারী মিজানুর রহমান হত্যা মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৪নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. আজিজুল হক ও সেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য মো. ওবায়দুল ইসলাম রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহত মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ছিলেন খিলগাঁও থানার বনশ্রী এলাকায় একটি মুদি দোকানের কর্মচারী। গত ১৯শে জুলাই ভিকটিম জুমার নামাজ আদায় করে বিকাল ৩টার দিকে দোকান খোলার জন্য বাসা থেকে বের হন। তখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গোলাগুলি চলছিল। খিলগাঁও থানার বনশ্রী এলাকায় পৌঁছালে কোনোকিছু বুঝে ওঠার আগেই ভিকটিম বাম পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। পরে ভিকটিমের স্ত্রী, বোন ও ভগ্নিপতির সহায়তায় নিকটস্থ অ্যাডভান্স হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। রক্তপাত বন্ধ না হওয়ায় ভিকটিমকে দ্রুত আগারগাঁও পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরেও রক্ত বন্ধ না হওয়ায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটের সময় মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা কামাল হোসেন মোল্লা গত ২রা সেপ্টেম্বর খিলগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা তদন্তকালে গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেপ্তারকৃতদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকালে খিলগাঁও থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আজিজুল এবং ওবায়দুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।