বিশ্বজমিন
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইসরাইলের জন্য ‘ন্যূনতম শাস্তি’, জুমার খুতবায় খামেনি
মানবজমিন ডেস্ক
(১ মাস আগে) ৪ অক্টোবর ২০২৪, শুক্রবার, ৫:০৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০২ পূর্বাহ্ন
ইসরাইলের অভ্যন্তরে তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রশংসা করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তিনি এই হামলাকে ‘আইন সম্মত’ হামলা বলেও অভিহিত করেছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, খামেনি বলেছেন- ইসরাইল যে ‘আশ্চর্য অপরাধ’ করেছে তার বিরুদ্ধে ওই হামলা তেল আবিবের জন্য ‘ন্যূনতম শাস্তি’। ইসরাইলকে মধ্যপ্রাচ্যের ‘ভ্যাম্পায়ার’ এবং যুক্তরাষ্ট্রকে ‘খেপা কুকুর’ বলে অভিহিত করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় এই নেতা। তিনি বলেছেন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘শান্তি ও দৃঢ়তার’ সাথে যেকোনো দায়িত্ব পালন করবে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান। ইসরাইলের ব্যাপারে দ্বিতীয়বার ভাববে না তেহরান এমন হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন খামেনি।
তেহরানের গ্র্যান্ড মোসাল্লা মসজিদে শুক্রবার জুমার নামাজের খুতবায় এসব কথা বলেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। গত পাঁচ বছরের মধ্যে তিনি প্রথমবারের মতো জুমার নামাজের খুতবা দিলেন। এর আগে ২০২০ সালে মার্কিন হামলায় বিপ্লবী গার্ডের জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যা করার পর খামেনী শেষবার জুমার খুতবা দিয়েছিলেন। ফার্সি ভাষায় দেয়া এই খুতবার প্রথম অংশে খামেনি পবিত্র গ্রন্থ কুরআনের নীতির ভিত্তিতে বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের ‘ঐক্য’ গড়ার উপর জোর দেন। তিনি বলেন, ইরান, ফিলিস্তিন, লেবাননের শত্রু প্রত্যেকটি মুসলিম দেশের শত্রু। আনুষ্ঠানিকভাবে তেহরানের গ্রান্ড মসজিদের জুমার খুতবা খামেনির দেয়ার কথা থাকলেও জরুরি পরিস্থিতি না হলে তা থেকে তিনি বিরত থাকেন। তার পরিবর্তে সাধারণত অন্য কেউ জুমার নামাজের ইমামতি করে থাকেন।
ইরানের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, লেবানন এবং ফিলিস্তিনিদের সম্বোধন করে আরবি ভাষায়ও একটি বক্তব্য দিবেন আয়াতুল্লাহ খামেনি। হামাস-ইসরাইল সংঘাতের এক বছর পূর্তির আগে এই ভাষণ দিলেন তিনি। হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ এবং ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) কমান্ডার আব্বাস নীলফরৌশানের পাশাপাশি হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহ হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইরান ইসরাইলের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তিন দিন পরে এই ভাষণ দিলেন খামেনি। ২০২০ সালে বাগদাদের বিমানবন্দরের কাছে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের জেনারেল কাসেম সোলেইমানি নিহত হওয়ার পরে এবং পরবর্তীতে ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের হামলার পর খামেনি শেষবার তার জুমার খুতবা দিয়েছিলেন। এর আগে ২০১২ সালেও এভাবে জুমার খুতবা দিয়েছিলেন আয়াতুল্লা আলী খামেনি।