দেশ বিদেশ
মেয়াদ শেষ, কোন আইনের বলে ভারতে থাকবেন শেখ হাসিনা?
মানবজমিন ডেস্ক
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শুক্রবারকূটনৈতিক পাসপোর্টের বদৌলতে ভারতে থাকার যে বৈধতা ছিল বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তা শেষ হতে চলেছে। অর্থাৎ তিনি তার কূটনৈতিক পাসপোর্টের মাধ্যমে ভারতে ৪৫ দিন থাকার যে অনুমতি পেয়েছিলেন সে মেয়াদের শেষ দিন হচ্ছে বৃহস্পতিবার। ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, শুক্রবার থেকে শেখ হাসিনা কোন আইনের বলে ভারতে থাকবেন। মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, কূটনৈতিক পাসপোর্টের বদৌলতে শেখ হাসিনার ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হলেও তাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেয়ার সম্ভাবনা নেই। তাহলে কোন বলে ভারতে থাকবেন শেখ হাসিনা? কোনো কোনো মহলের যুক্তি, হয়তো তিব্বতী ধর্মগুরু দালাই লামার মতো ‘সাময়িকভাবে’ রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়া হতে পারে। এ খবর দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম জি নিউজ। এতে বলা হয়, গণঅভ্যুত্থানের পর গত ৫ই আগস্ট দেশ ত্যাগ করে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। তার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছে বাংলাদেশ সরকার। ফলে ভারতে থাকার বিষয়টি এখন ভারতের সিদ্ধান্তের উপরেই নির্ভর করছে। শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পরই বিএনপি-সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল দাবি তুলেছে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে তার বিচার করতে হবে। হসিনার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই খুনের মামলা হয়েছে। এখন ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে না চাইলে কী করবে বাংলাদেশ, সেটিও বড় প্রশ্ন। এনিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মঙ্গলবার বলেছেন- কোন আইনে শেখ হাসিনা ভারতে রয়েছেন তা তারা জানেন না। ভারতের কাছে কিছু জানতে চায়নি ঢাকা। তবে ভারত চাইলে শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ভারতে রাখতে পারে।
হাসিনা যেদিন রাজনীতিতে আসছে সেদিনই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিল যে দেশকে চেতনার বটিকা খাইয়ে এমন এক পর্যায়ে নিয়ে যাব তাতে ৭১ এর স্বাধীনতার স্বাদ কড়ায় গন্ডায় বুঝিয়ে দিব। সেই বাদ্য বাজিয়ে বাজিয়ে জনগণের আক্কেল বিবেককে এমন নির্বোধ করে তুলব যাতে দেশকে লুট করতে করতে কঙ্কাল বানিয়ে দিলেও পাবলিক এতটুকুন উহ আহ করার চেতনাও হারিয়ে ফেলবে। আর যদি আম্র মিশন সফলতার প্রান্তে পৌ়ছার পূর্বেই কোন অঘটন ঘটে যায় তাহলে ভারত আছে না? সেখানেই বাকী জীবন কাটিয়ে দিব উচ্ছ্বাস আর উল্লাসে। কারণ ভারতকে খুশি আর সুখি করতেই আমার জম্ম। একথা ভারত যেমন জানে তেমনি আমিও জানি, জানেনা শুধু বাংলার চদু জনতা। সুতরাং আমার আবার ভয় কিসের?
শেখ হাসিনা প্রকৃত অর্থে ভারতেরই নাগরিক। ২০০৮ সালে ফখরুদ্দিন মঈন উদ্দিনের সামরিক সরকারটাও ছিল ভারত সমর্থিত তত্বাবধায়ক সামরিক সরকার। তখন মঈন উদ্দিন ভারত সফরের সময় বেশ কয়েকটা অশ্ব উপহার হিসাবে পেয়েছিল ভারত তোষনের বদৌলতেই। গত ১৭ বছর ভারতের গোপন মিশন বাস্তবায়ন করে গেছে শেখ হাসিনা ভারতের আস্কারাতেই। সে ভারতের গোপন নাগরিক গুপ্তচর হয়ে কিংবা র এর বাংলাদেশের প্রধান এর পদে থেকে জনগণকে ব্ল্যাকমেইল করে এতদিন ক্ষমতার হালুয়া ভোগ করেছে নয়তো নিজ দেশের জনগনের উপর এতো অত্যাচার এত নিপীড়ন এত খুন এতো গুম হত্যা দেশের এত সম্পদ টাকা পয়সা লুট করা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না। সে উড়ে এসে জুড়ে বসে বাংলাদেশকে ফোকলা করে নিঃশেষ করে দিতেই এক অমানবিক বিভৎস শাসন ব্যবস্থা চালু করে রেখেছিল এবং দেশের স্বার্থের চেয়ে ভারতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চে স্থান দিয়েছিল। অতএব এখন ভারতে তার অবস্থান তেমন কোন বিতর্কের জম্ম ভারতীয়দের মাঝে দিবে না। সঙ্গত কারণেই ধরা যায় শেখ হাসিনা ভারতেরই নাগরিক।
ভারত তার দালালদের আশ্রয় দেবে। আর এটাই ভারতের নীতি। এভাবে ভারত একটি বিশ্ব দালালে পরিণত হয়ে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের লাথি উষঠা খেতে খেতে ধংস হয়ে যাবে।
একজন স্বৈরাচারী ভারতের মধ্যে কোন আইনে থাকবে না ভারত থেকে দুর হয়ে যাবে সেটা ভারত ও স্বৈরাচারী একান্ত বিষয়।
How is it an even big deal? Laws are made by people and twisted by people. Human laws are not laws of physics.
ভারতের দালাল শেখ হাসিনা ভারতেই থাকবে এবং ওখানে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে।