রাজনীতি
আওয়ামী লীগের মতো করলে একই দশা আমাদেরও হবে: ফখরুল
স্টাফ রিপোর্টার, ঠাকুরগাঁও থেকে
(২ সপ্তাহ আগে) ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বুধবার, ৫:৫২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০২ পূর্বাহ্ন
টানা প্রায় ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগ যা করেছে এবং যেভাবে গণঅভ্যুত্থানে তাদের বিদায় হয়েছে, সেটা বিএনপি করলেও পরিণতি একই হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এজন্য দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক করেছেন তিনি। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলা বিএনপি আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে আমরা এই মুক্ত বাংলাদেশ বাস করছি, কিন্তু মনে রাখবেন- এই মুহূর্ত সেই পর্যন্তই মুক্ত ও স্বাধীন থাকবে, যতদিন আমরা মুক্ত ও স্বাধীন রাখতে পারব। আমরাও আওয়ামী লীগের মতো শুরু করলে তাদের মতো একই দশা আমাদেরও হবে। সেজন্য বিশেষ করে বিএনপির নেতাকর্মীদের মানুষের ভালোবাসা অর্জন করতে হবে। কারো প্রতি অন্যায় অত্যাচার এবং অবিচার করা যাবে না।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকার আন্দোলনে দুই হাজার ছাত্র-জনতাকে খুন করেছে। অনেকের হাত-পা কেটে ফেলতে হয়েছে। কারও মাথার খুলি উড়ে গেছে।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নির্ভয় দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষরা আমাদের আমানত। তাদের রক্ষা করার দায়িত্বও আমাদের। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, যে আমানতের খেয়ানত করে সে মুমিন না। তাই এই আমানতকে রক্ষা করতে হবে। সামনে তাদের পূজা আসছে। সেখানে কোথাও যেন কোনো অঘটন না ঘটে, কারো কোথাও কোনো সম্পত্তিসহ আত্মীয়-স্বজনদের ওপর যেন অত্যাচার না হয় সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘অতীতে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। তাই সবাই যেন ভোট দিতে পারে, যার ভোট সেই দেবে, যাকে খুশি তাকে দেবে। সেই ভোটের মধ্যে দিয়ে আমরা আমাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করব। আগের সিস্টেম থেকে বেরিয়ে আসার এবং ঠিক করার জন্য বর্তমান সরকারকে সময় দিতে হবে। তারা নিরপেক্ষ মানুষ, কোনো দল করেন না। কিন্তু দেশটাকে ভালোবেসে দেশের জন্য কিছু কাজ করতে চান। তাই অন্তর্বর্তী সরকারকে সবার সহযোগিতা করতে হবে।
ভারত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারত অনেক খারাপ কাজ করে। সীমান্তে গুলি করে মানুষ মারে। আমরা ভালোভাবে থাকতে চাই তাদের সাথে। প্রতিবেশী হিসেবে থাকতে চাই তাদের সাথে। কিন্তু আমাদের সাথে কোনো অন্যায় করা হলে তার প্রতিবাদ আমরা জানাব।
জনসভায় হরিপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি জামাল উদ্দিন সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর করিম, সহসভাপতি ওবায়দুল্লা মাসুদ, জেলা মহিলাদের সভাপতি ফারাতুন নাহার পেরিস, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. কায়েসসহ উপজেলার বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ এবং সমর্থকরা।
এইবার পরিবর্তন আনতে ছাএরা বুকে গুলি নিয়ে সামনে এগিয়েছে, পীছনে ফেরে নাই, সাধারন জনগন, রাজনৈতিক কর্মীরা উৎসাহিত হয়ে ছাএদের সাথে আন্দোলনে যোগ দিয়ে গনভবন দখল করেছে- হাসিনা পালিয়েছে, ১ হাজার মৃত্যু ১০ হাজার আহতের বিনিময়ে। উনার কথার সাথে দ্বিমত করে বলি যখন মানুষের চরিএ ১০০% পরিবর্তন হয়েছে মর্মে জনগন নিশ্চিত হবে তখনই নির্বাচন এবং সংসদ, ক্ষমতা পাবেন। ছাএজনতাকে স্বৈরচার তাডানোর জন্য আর হারাতে চাই না। সুযোগ এসেছে কাজে লাগান, ক্ষমতা, সংসদ, প্রধানমন্ত্রী,অনেক দেখেছেন, অনেক পেয়েছেন, ১০০% পরিবর্তনের জন্য কাজ করুন সর্বক্ষেএে।
রাজনৈতিক নেতৃত্বকে পরিণতির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়াটাই হলো জনতার শক্তি। আশা রাখি বিএনপি সহ সকল রাজনৈতিক দল ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীর পথ চলবেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আত্ম উপলব্ধি করছেন, কিন্ত আপনার নেতা কর্মীদের শাসনের মধ্যে রাখতে হবে, নয়ত আরো করুন পরিস্থিতি হবে।