দেশ বিদেশ
টেলিটক ডিলারদের সেবা বন্ধ দাবি আদায়ে সংবাদ সম্মেলন
স্টাফ রিপোর্টার
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবারসারা দেশে টেলিটক ডিলারদের ন্যায্য পাওনা আদায় ও দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসন সংস্কারের দাবিতে সেবা বন্ধ রেখেছেন টেলিটক ডিলারস এসোসিয়েশন (টিড্যাব)। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী এক সপ্তাহ টেলিটকের সব ধরনের সেবা বন্ধ রাখতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছেন তারা। রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির একটি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান এসোসিয়েশনের সমন্বয়ক মো. রেজাউল করিম জাহাঙ্গীর। এ সময় তারা বলেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান টেলিটককে ধ্বংস করার লক্ষ্যে বিগত সরকারের আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে বর্তমান সেলস অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন ম্যানেজমেন্ট টেলিটককে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড় করিয়েছেন। এই গ্রুপের একমাত্র কাজ হলো- টেলিটককে একটি লস প্রজেক্ট হিসেবে দাঁড় করিয়ে তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রির ব্যবস্থা করে বড় আকারের কমিশন বাণিজ্য করা। এর ধারাবাহিকতায় মার্কেটে সিমের চাহিদা থাকলেও চাহিদা মোতাবেক সিম ডিলারদের কাছে দেয়া হয় না। রিটেলারদের টেলি চার্জ ও পল্লী বিদ্যুৎ সেল করার জন্য টেলি-পে অ্যাপ সামান্য অজুহাতে মাঝে মাঝে বন্ধ করে দেয়া হয়। সিম অ্যাক্টিভেশন এবং প্রথম রিচার্জ করতে মিনিমাম ২০ মিনিট সময় লাগে। এতে করে রিটেলার বা টেলিটকের সিম বিক্রয় করতে অনীহা প্রকাশ করে। সংবাদ সম্মেলনে ডিলারদের পাওনা আদায় করতে ৫টি দাবি জানানো হয়।
সেগুলো হলো- ডিলার হাউজের এস আর, সুপারভাইজার এবং বিপিদের বেতন বাবদ কম্পেনসেশন ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০২৪ সালের চলতি মাস পর্যন্ত সকল বকেয়া কমপেনসেশন অবিলম্বে পরিশোধ করতে হবে, যা আনুমানিক ১৩ কোটি টাকা। প্রত্যেক ডিলার হতে নেয়া পল্লী বিদ্যুৎ অথবা টেলিচার্জ বাবদ অতিরিক্ত সিকিউরিটি ডিপোজিট অবিলম্বে ফেরত দিতে হবে, যা আনুমানিক সাড়ে ৭ কোটি টাকা। ডিলার এবং রিটেলারদের পাওনাকৃত বিভিন্ন প্যাকেজের ইউজেস কমিশন অবিলম্বে পরিশোধ করতে হবে। টেলিটক হতে অব্যাহতি নেয়া সকল ডিলারদের সিকিউরিটি ডিপোজিটসহ সকল পাওনা অবিলম্বে পরিশোধ করতে হবে। কিছু অসাধু কর্মকর্তা অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে কমপেনসেশন দেয়ার পূর্বেই ৩০ শতাংশ টাকা অগ্রিম নিয়ে কম্পেনসেশন দেয়া হতো, ওই টাকা অবিলম্বে ফেরত দিতে হবে।
টেলিটকের সংস্কারমূলক দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিগত সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংস্কার করতে হবে এবং বিটিসিএল কর্মকর্তাদের টেলিটকে নিয়োগ দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। মার্কেটে সিম চাহিদা মোতাবেক প্রদান করতে হবে এবং নতুন প্যাকেজের সিম আনতে হবে। টেলি পে-অ্যাপস আপগ্রেড করতে হবে এবং অ্যাপসের যেকোনো সমস্যার সমাধান দ্রুততম সময়ে করতে হবে। সকল টাওয়ারে ব্যাটারি ব্যাকআপ এর ব্যবস্থা করতে হবে। মাদার সিম থেকে এস আর সিমে টাকা ট্রান্সফার করার পর অবিকৃত টাকা মাদার সিমে ফেরত আনার ব্যবস্থা করতে হবে। রিটেলারদের বিভিন্ন অফার সেলে এক্সট্রা কমিশনের ব্যবস্থা করতে হবে। দ্রুততম সময়ে সকল টুজি টাওয়ারকে ফোরজি-তে রূপান্তর করতে হবে। ডাটা ব্যবহারের জন্য স্পেশাল স্টুডেন্ট সিম প্যাকেজ আনতে হবে।