অনলাইন
সম্পাদক পরিষদের বিবৃতি
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঢালাও হত্যা মামলা সরকারের প্রতিশ্রুতির লঙ্ঘন
স্টাফ রিপোর্টার
(৩ সপ্তাহ আগে) ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ৯:১৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১:৫০ অপরাহ্ন
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঢালাও হত্যা মামলা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিশ্রুতির লঙ্ঘন বলে মনে করে সম্পাদক পরিষদ। শনিবার এক বিবৃতিতে পরিষদ সভাপতি মাহফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ বলেন, ঢালাও অভিযোগের ভিত্তিতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার ঘটনা এখনো অব্যাহত রয়েছে। সম্পাদক পরিষদ দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চায়, এ ধরণের মামলা প্রচলিত আইনের অপব্যবহারের শামিল। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিশ্রুতিরও লঙ্খন।
বিবৃতিতে বলা হয়, সাংবাদিকরা কোনো অপরাধ করে থাকলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে যথাযথ ধারা অনুসরণ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। সম্পাদক পরিষদ আরো জোর দিয়ে বলতে চায় যে পেশাদারিত্ব বাদ দিয়ে নীতিবিবর্জিত ও লেজুড়বৃত্তির সাংবাদিকতা বর্জনীয়। যেসব সাংবাদিক বিগত সরকারের নানা নিপীড়নমূলক কর্মকাণ্ডে সাংবাদিকতার নামে সমর্থন দিয়েছেন, প্রেস কাউন্সিলে একটি কমিটি গঠন করে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও অনুসন্ধান হতে পারে। সেখানে দোষী সাব্যস্ত হলে প্রেস কাউন্সিল আইনে তাদের সাজা হতে পারে। তাদের অন্যান্য অপরাধের ক্ষেত্রে প্রেস কাউন্সিলের সুপারিশের ভিত্তিতে প্রচলিত আইনে তাদের বিচার চলতে পারে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিগত সরকারের সময়ে ডিএসএ/সিএসএসহ নিবর্তনমূলক বিভিন্ন আইন ও হয়রানিমূলক আটক-গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধের যে প্রয়াস চালানো হয়েছিল, তা বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে অত্যন্ত নিন্দিত ও সমালোচিত হয়েছিল। আর বর্তমানে সাংবাদিকদের নামে এভাবে ক্রমাগত হত্যা মামলা দেয়ার প্রবণতাও আন্তর্জাতিক অঙ্গণে অন্তর্বর্তী সরকারের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করছে বলে সম্পাদক পরিষদ মনে করে।
এ অবস্থায় যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই করে অভিযুক্ত সাংবাদিকদের কোনো সংশ্লিষ্টতা না পাওয়া গেলে এসব মামলা থেকে দ্রুত তাদের অব্যাহতি দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ।
মাহফুজ আনামদের কারণেই এই রকম খুনি (হাসিনা) সরকারের উত্থান হয়। তারা সরকারকে খুশি করতে সত্যকে মিথ্যা আর মিথ্যাকে সত্য হিসেবে প্রমাণ করে। এমন দালাল সাংবাদিকরা কখনোই দেশ ও মানবতার জন্য কাজ করে না।তারা কাজ করে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য। তাই সাবধান!! তাদের পাতা ফাঁদে কোনোভাবেই পা দেওয়া যাবে না।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সাংবাদিক নামধারী আওয়ামী ক্যাডারদের প্রকাশ্যে গুলি করতে দেখা গেছে, পুলিশকে গুলি করার অনুরোধ করেছে। মজলুম সাংবাদিক ইঞ্জিনিয়ার মাহমুদুর রহমানকে কুষ্টিয়ায় মেরে রক্তাক্ত করেছে,দৈনিক সংগ্রাম সম্পাদক বয়োবৃদ্ধ আবুল আসাদ সাহেবকে দাড়ি ধরে টেনে হিচড়ে আহত করে অফিস থেকে বের করে দিয়েছে, মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে শেখ হাসিনা দেশ থেকে বের করে দিয়েছে। তখন সম্পাদক পরিষদ কোথায় ছিল? নিউ এজ সম্পাদক জনাব নুরুল কবির সহ দেশপ্রেমিক সম্পাদকদের সম্পাদক পরিষদ থেকে পদত্যাগের অনুরোধ করছি। ভারতীয় পেইড এজেন্ট মাহফুজ আনাম ও মতিউর রহমান কে বাদ দিয়ে সম্পাদক পরিষদ পুনর্গঠনের জন্য বিবেকবান সম্পাদকদের অনুরোধ করছি।
ঢালাও হত্যা মামলা বলতে সম্পাদক পরিষদ কি বুঝাতে চাচ্ছেন ? যেসব সাংবাদিক নামধারী কুচক্রীমহল বিগত ১৫ বছর যাবৎ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী, লুটেরা, খুনি, মাফিয়া-স্বৈরাচার সরকারকে সমর্থন ও সহযোগীতা করেছেন তাদের সুরক্ষা চাচ্ছেন ? মতপ্রকাশের স্বাধীনতা মানে যদি হয় খুনি স্বৈরশাসককে সহযোগিতা করা - তাহলে অমন স্বাধীনতার প্রয়োজন নেই।
সাগর- রুনিকে নৃশংসভাবে হত্যার পর ভারতীয় ' র' - এজেন্ট মাহফুজ আনাম- কে কোন বিবৃতি দিতে জাতি দেখেনি।
সম্পাদক পরিষদের পুনর্গঠন জরুরি হয়ে পড়েছে। মতি ভাইয়ের মত সাহসী কলম সৈনিক যারা স্বৈরাচারী হাসিনার চোখে চোখ রেখে সত্য সংবাদ প্রচার করেছে তাদের নেতৃত্বে দেয়া উচিৎ। আর যারা আসামী হচ্ছে এরা তো হত্যাকাণ্ডের উস্কানি দাতা কাজেই এরা আইনের আওতায় আসবে এটাই স্বাভাবিক।
লজ্জা নিজেই লজ্জিত হয়ে দালাল মাহফুজ আনামকে পরিত্যাগ করছে। তার যদি সত্যই লজ্জা থাকতো, তাহলে গত ১৭ বছর ধরে চলা ভিন্নমতের সকল সংবাদ কর্মীদের উপর সংঘটিত সকল নির্যাতনের বিচার সে চাইতো।
প্রতিটি মামলায় প্রগতিশীল, ইন্ডিয়ার দালাল দের নাম থাকা চাই
সাগর রুণির মামলার তদন্ত এত বার পিছাল,তখন আপনারা নিশ্চুপ ছিলেন কেন?
সাংবাদিক মাহামুদুর রহমান ও আবুল আসাদের উপর হামলা, মতিউর রহমান চৌধুরীরকে হয়রানি করে দেশ থেকে বিতাড়িত করা, সে সময় এই সম্পাদনা পরিষদের হুস ছিল না।
অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তব ঘৃণা কর যেন তৃণ সমদহে। ডেইলি স্টার, প্রথম আলো, জনকণ্ঠ গং মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে মিথ্যা, ধোকা প্রতারণা উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ প্রকাশ করে ব্যক্তি বা দল বিশেষ এবং ইসলামের বিরুদ্ধে ঘৃণা এবং বিদ্বেষ ছড়াত। এদের চক্রান্তে এসেছিল ১/১১ সরকার। শেখ হাসিনার সরকার ছিল সেই ১/১১ এর ধারাবাহিক সরকার। এদের অপরাধ শেখ হাসিনার চেয়ে কম নয়
সাংবাদিক সবাই ফিরিস্তা না শয়তানও আছে ? ভালোকে ভালো বলার এখনই সময় আর মুখোশধারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়াও এখনই সময়।
প্রতিটা মামলায় মাহফুজ আনামকে এক নং আসামি হিসাবে রাখলে আওয়ামীলীগের দালালীর বিচার কিছুটা পরিশোধ হইত।
এতদিন কোথায় ছিলেন মাহফুজ আনাম? কত সাংবাদিকেরা ফ্যাসিসট হাসিনার কবলে পড়ে ভিটে বাড়ী ছাড়া তা কী আপনার জানা নাই?!!
মাহমুদুর রহমানের উপর হামলার সময় এই পরিষদ কোথায় ছিল।