অনলাইন
আশুলিয়ায় ২১৯ পোশাক কারখানা বন্ধ
স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে
(৩ সপ্তাহ আগে) ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১২:৩৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১০ পূর্বাহ্ন
দাবি-দাওয়া নিয়ে শ্রমিক অসন্তোষের জেরে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে মোট ২১৯টি কারখানা বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘২১৯টি কারখানার মধ্যে ৮৬টি কারখানা শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারা মোতাবেক বন্ধ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আর বাকি ১৩৩টি কারখানা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে।’
শিল্পাঞ্চলে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কারখানাগুলোর সামনে পুলিশ মোতায়েন ও শিল্পাঞ্চলে যৌথবাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
হাজিরা বোনাস ও টিফিন বিল বৃদ্ধি ও শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধসহ বিভিন্ন দাবি আদায়ে গত ৩১ আগস্ট থেকে গাজীপুর ও সাভার-আশুলিয়ায় বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকরা। এ ছাড়া কারখানায় নিয়োগে নারী ও পুরুষের সম-অধিকার নিশ্চিতের দাবিতেও বিক্ষোভ করেন চাকরিপ্রত্যাশীরা।
এদিকে শ্রম অসন্তোষের পরিপ্রেক্ষিতে পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে ‘শ্রম অসন্তোষ পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ শীর্ষক আন্তমন্ত্রণালয় সভা শেষে এ কথা জানান শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
পতিত ইবলিশ হাসিনার দালালরা অর্থনীতির খতি সাধনে সকৃয় কাজ করছে। তবে শ্রমিকদের ন্যায্য দবী বিবেচনা করতে হবে কারখানা খোলা রেখে। দেশ স্বাধীন থাকলে সব থাকবে। সকলে প্রান প্রিয় দেশকে ভাল বাসুন।
নারী ও পুরুষের কাজও সম হোক।
যারা আমাদের গার্মেন্টস নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে, আমাদের শ্রমিকদের বেকার করে দিতে চাইছে তাদেরকে বলছি, গার্মেন্টস শিল্প বন্ধ হলে দেশে কৃষি বিপ্লব ঘটবে। এতো শ্রমিক কোথায় যাবে?
হেকমতের সাথে মোকাবেলা করতে হবে
আমাদের গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিতে সমস্যা - অসন্তোষ নতুন নয়। নূন্যতম মজুরি, বেতন-বোনাস সময়মতো পাওয়া, বেতন-বোনাস বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সমস্যা আছে। গার্মেন্টস মালিকরা চাইলেই সুষ্ঠুভাবে সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারত। কিন্তু তারা সবচেয়ে বড় মুনাফাখোর। শ্রমিকরা রক্ত পানি করে শ্রম দিবে কিন্তু নায্য সম্মানটুকু পাবেনা, আর মালিকরা সরকারকে বড় অংকের মাসোয়ারা দিবে, সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মহলকে মাসোয়ারা দিয়ে পক্ষে রাখবে। বড় অঙ্কের বেতনে বিদেশীদের (ভারতীয়-শ্রীলঙ্কান) নিয়োগ দিবে, কিন্তু বাংলাদেশী শিক্ষিতরা চাকরী পাবেনা। চাকরী পেলেও বেতন অনিয়মিত। এসব গার্মেন্টস মালিকরা অতীতে সরকারের থেকে অন্যায়ভাবে প্রণোদনা সুবিধা, ব্যাংকঋণ সুবিধা নিয়েছে। এরা পোশাক রপ্তানির নামে বিদেশে ডলার পাচার করে। এসবের বাহিরে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তার বিষয়টিও আছে। গার্মেন্টস ইন্ড্রাস্টি নিয়ে বর্তমান সরকার কিংবা ভবিষ্যৎ নির্বাচিত সরকারকে স্থায়ী সমাধানে যেতেই হবে। এইখাতে যেকোনো অসন্তোষ আমাদের অর্থনীতির জন্য হুমকি। প্রতিযোগী দেশগুলো কিন্তু বসেনাই।
দেশকে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল করার ষড়যন্ত্র চলছে। কঠিন ভাবে সন্ত্রাসীদের দমন করা ছাড়া বিকল্প নেই।
নিজেদের রুটিরুজির প্রতিষ্ঠানকে নিজেরাই কেউ ধ্বংস করতে পারেনা। এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে সকল শ্রমিক ভাইদের সোচ্চার হওয়া উচিৎ।
totally awamiligue peoples does the work
পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।
এটা ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।এখন কোন দাবি দাওয়া নয়।
দেশকে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল করার ষড়যন্ত্র চলছে। কঠিন ভাবে সন্ত্রাসীদের দমন করা ছাড়া বিকল্প নেই। সব ঘটনার ভিডিও আছে।
এসব কারখানা বন্ধের সাথে শিল্প পুলিশের ইন্ধন আছে। বিষয়টি তদন্ত-পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী।
সৈরাচার এইবার ভর করেছে গার্মেন্টস কর্মীদের উপর।....