অর্থ-বাণিজ্য
নগদের লাইসেন্স স্থগিত: বাংলাদেশ ব্যাংক
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ২২ আগস্ট ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৯:০১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৮:৩৭ অপরাহ্ন
মোবাইল আর্থিক পরিষেবা (এমএফএস) প্রদানকারী নগদের ডিজিটাল ব্যাংকিং লাইসেন্স স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর সাংবাদিকদের সঙ্গে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
গভর্নর জানান, লাইসেন্সিং পর্যালোচনার জন্য এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। রিভিউ অনুযায়ী যদি তারা যোগ্য হয়, তাহলে পুনরায় তারা লাইসেন্স পাবে। ততক্ষণ পর্যন্ত তা স্থগিত থাকবে। তিনি বলেন, নগদের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস)-এর পরিষেবা ধ্বংস করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এটাকে আরও শক্তিশালী করবো। তিনি বলেন, যেহেতু নগদ প্রচার করত তারা ডাক বিভাগের প্রতিষ্ঠান, সেজন্য আমরা এ প্রতিষ্ঠানকে ডাক বিভাগের অধীনে নিয়েছি। আমরা এ প্রতিষ্ঠানের জন্য বিকাশ (মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস)-এর মতো শক্তিশালী কাঠামো তৈরি করতে কাজ করবো। নগদের অর্থ পাচার ও অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে একটি কমিটি গঠন করে নীরিক্ষা করা হবে বলেও জানান আহসান এইচ মনসুর।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত বছরের অক্টোবরে নগদকে ডিজিটাল ব্যাংকিং লাইসেন্স প্রদান করে। সম্প্রতি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের সঙ্গে যুক্ত দুই প্রভাবশালী ব্যক্তির হস্তক্ষেপের পর এমএফএস পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা বিদ্যমান নিয়মগুলোকে উপেক্ষা করে লাইসেন্স গ্রহণ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় মোবাইলে আর্থিক সেবা পরিচালনার জন্য থার্ড ওয়েভ নামের একটি কোম্পানিকে কাজ দেয়। আর গত ৩রা জুন বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল ব্যাংক হিসেবে নগদ ডিজিটাল ব্যাংককে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর আগে বুধবার নগদ-এর প্রশাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির চট্টগ্রাম অফিসে কর্মরত পরিচালক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদারকে এক বছরের জন্য নিয়োগ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এদিকে বৃহস্পতিবার নগদের দায়িত্ব বুঝে নেয়ার পর সাংবাদিকদের মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার বলেন, মোবাইলে আর্থিক সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান নগদের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলবে। প্রশাসক নিয়োগ করায় আগের পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্ত হয়ে গেছে এবং প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদেও কেউ নেই। এখন থেকে আমরা প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করবো। এমডি ছাড়া অন্য কর্মীরা আগের মতোই কাজ চালিয়ে যাবেন।
সকাল ৯টার দিকে নগদের কার্যালয়ে যান প্রশাসকসহ বাংলাদেশ ব্যাংক ও ডাক বিভাগের কর্মকর্তারা। এরপর তারা প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম বুঝে নেন।
প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার বলেন, নগদ ডাক বিভাগের সেবা। প্রধান এজেন্ট হিসেবে নগদ এই কার্যক্রম পরিচালনা করে। আমরা সাময়িক অনুমোদন দিয়েছি। এভাবেই সেবাটি চলছে। এখন পূর্ণাঙ্গ অনুমোদনের বিষয়ে কাজ করা হবে।
নগদ কীভাবে চলছে, এই প্রশ্নের জবাবে ডাক বিভাগের পরিচালক আবু তালেব বলেন, পরিচালন চুক্তির আওতায় নগদ তার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। নগদের পরিচালনায় ডাক বিভাগের কোনো অংশগ্রহণ নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও ডাক বিভাগ মিলে নগদের সবকিছু দেখবে। আমরা ছেড়ে দেয়ার আগে অবশ্যই একটা নিরীক্ষা করে যাবো।