অর্থ-বাণিজ্য
বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি
স্টাফ রিপোর্টার
(৩ সপ্তাহ আগে) ১২ আগস্ট ২০২৪, সোমবার, ৮:০২ অপরাহ্ন
দুর্নীতিবাজ ও অযোগ্য বলে উল্লেখ করে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের দ্রুত পদত্যাগ দাবি করেন।
সোমবার বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে আনুষ্ঠানিকভাবে চেয়ারম্যান এর দ্রুত অপসারণের দাবি, সোনালী লাইফে নিয়োগকৃত প্রশাসক বাতিল করে সোনালীর পরিচালনা পর্ষদ দ্রুত পুনরায় কার্যকর করার দাবি জানায় সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি প্রতিনিধি দল।
তারা দাবি করেন যে একটি স্বার্থান্বেষী মহলের চক্রান্তে এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার ভুল সিদ্ধান্তের কারণে দেশের চতুর্থ প্রজন্মের দ্রুততম প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছে।
তাদের দাবি, বিমা খাতে অভিজ্ঞতাহীন একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে প্রশাসক হিসেবে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এ নিয়োগ দেয়ার পর থেকেই তার গৃহীত নানান ক্ষতিকর পদক্ষেপ প্রশাসক ও কর্মীদের মাঝে দূরত্ব সৃষ্টি করে যার ফলে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ৫০ শতাংশ ব্যবসা কমেছে।
কোম্পানিটির সর্বস্তরের কর্মীরা তাকে সরিয়ে একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে নিয়োগ দেয়া এবং সেই সঙ্গে কোম্পানির আট লাখ গ্রাহকের অর্থের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নির্মোহ অডিট করার দাবি জানিয়েছিল।
তারা অভিযোগ করেন যে, প্রতিষ্ঠার ১০ বছরে এই প্রথম গ্রাহকের বিমা দাবির সাত দিন পেরিয়ে গেলেও তা পূরণ করতে পারেনি সোনালী লাইফ। বিমা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নিয়োগ দেয়া প্রশাসকের কারণে উলটো পথে হাঁটছে প্রতিষ্ঠানটি।
অরিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন যে মালিকানা বদলের পাঁয়তারায় সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কে ধ্বংসের চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, কথিত দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছিল বিমা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, তবে দায়িত্ব নেয়ার পর প্রশাসকের বিরুদ্ধেই উঠে আসে নানা অনিয়মের অভিযোগ।
প্রশাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, যৌক্তিক কারণ ছাড়াই শীর্ষ নির্বাহীদের বরখাস্ত করেন তিনি, যা পরে উচ্চ আদালত রহিত করে। এ ছাড়াও প্রশাসকের বিরুদ্ধে নিয়মবহির্ভূতভাবে নিজস্ব লোকজন নিয়োগের অভিযোগও আছে।
কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন যে উল্লিখিত প্রশাসক শুধুমাত্র বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যানের ইচ্ছায় নানান ক্ষতিকর সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। যাতে শুধু সোনালী ই নয় তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রায় ২৮০০০ পরিবার ও তাদের উপর নির্ভরশীল প্রায় ৬০-৭০ হাজার বীমা পরিবারের সদস্য ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।