রাজনীতি
গণজাগরণকে ব্যর্থ করতে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রোপাগান্ডা: ফখরুল
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ১২ আগস্ট ২০২৪, সোমবার, ১:৩৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০০ পূর্বাহ্ন
সংখ্যালঘুদের উপর হামলার বিষয়টি ফেইক প্রপাগান্ডা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের গণজাগরণকে ব্যর্থ প্রমাণ করার জন্য ও নতুন সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য একটি মহল মিথ্যা ও বানোয়াট নাটকের প্রচারণা চালাচ্ছে। আমার বিশ্বাস কেউ এটা বিশ্বাস করবে না। সোমবার রাজধানীর বনানী কবরস্থানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর ৫৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণআন্দোলনে যেসব ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছেন, তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি ও শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। আরাফাত রহমান কোকো রাজনীতিতে সম্পৃক্ততা ছিলেন না। তিনি ছিলেন একজন ক্রীড়াপ্রেমী ও সংগঠক। জীবদ্দশায় ক্রিকেটকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করেছেন। আজকের এদিনে আমরা তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশের ক্রীড়া অঙ্গনকে আন্তর্জাতিক মহলে এগিয়ে নিতে সফল হবেন। দ্রুততার সঙ্গে একটি নির্বাচনের ক্ষেত্র তৈরি করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তাড়াতাড়ি নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার গঠন হবে।
আমেরিকাকে সেন্টমার্টিন দেয় নাই বলে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নিজে যখন ব্যর্থ হয় তখন অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দেন, এটা তাদের ঐতিহাসিক বৈশিষ্ট্য। তারা সবাই জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য কাজ করছে। তাই দেশকে আশঙ্কামুক্ত করার জন্য সবাইকে সজাগ থেকে রাস্তায় নামতে হবে। জনগণের কাছে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
এটা গণ অভ্যূত্থানের সরকার। তাই এটাও জনগণের সরকার। এই সরকারের উচিত সংবিধানকে স্থগিত ঘোষণা করে জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছার বাস্তবায়ন করা।
'সংখ্যালঘু' শব্দের ব্যবহার পরিহার করুন। দেখবেন সমস্যা অর্ধেক কমে গেছে। এই শব্দটা ভিক্টিম কার্ডের আবেদন বাড়ায়।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এলাকায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পাওয়া নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। গত চার দিনে অন্তত ১৫ জনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার এবং একজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা ও ভাঙচুরের বিরুদ্ধে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে কঠোর অবস্থান নেওয়ার পর এ ব্যবস্থা নেওয়া হলো বলে বিএনপি সূত্রে জানা গেছে। সুত্রঃ প্রথম আলো