খেলা
‘রাজনীতি করে জাতীয় দলে খেলা উচিত নয়’
স্পোর্টস রিপোর্টার
১২ আগস্ট ২০২৪, সোমবারবাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের দুই মহাতারকা মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসান। দু’জন দেশের ক্রিকেটের সাবেক অধিনায়ক। সেই সঙ্গে ক্রিকেট খেলা অবস্থাতেই দু’জন হয়েছেন সরকারি দলের এমপি, খেলেন বিশ্বকাপেও। তুমুল জনপ্রিয় দুই ক্রিকেটার সরাসরি রাজনীতিতে আসার পর অনেকের সমালোচনার মুখেও পড়েন। সর্বশেষ সরকারের বিপক্ষে কোটা থেকে শুরু করে একদফা আন্দোলনে দেশের তারুণ্যের পাশে কোনো অবস্থান নেননি এই দুই ক্রিকেটার। যে কারণে সরকার পতনের পর তাদের বিরুদ্ধে জমানো রাগ-ক্ষোভ ও অভিমানের আগুন দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করে। তবে মাশরাফি ও সাকিবের সবচেয়ে স্নেহধন্য ও কাছের ক্রিকেটার নূরুল হাসান সোহানকে দেখা যায় শুরু থেকে আন্দোলনে ছাত্রদের পক্ষে থাকতে। নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেও কুড়িয়েছেন ভালোবাসা ও প্রশংসা। গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা মাঠে এসে তিনি ক্রিকেটারদের খেলার পাশাপাশি রাজনীতি করা নিয়ে জানিয়েছেন নিজের আপত্তির কথা। সোহান বলেন, ‘সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করে জাতীয় দলে খেলা কখনোই উচিত নয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর থেকে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে দেশের প্রায় সব অঙ্গনে। যার প্রভাব পড়েছে ক্রিকেটেও। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনসহ দুই ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসানও পড়েছেন তোপের মুখে। পরিচালকেরা রয়েছেন আত্মগোপনে। সাকিব আল হাসান ঘুরে বেড়াচ্ছেন দেশের বাইরে পরিবার নিয়ে। সেখান থেকে তার পাকিস্তান সফরেও যাওয়ার কথা রয়েছে। অন্যদিকে শুধু ক্রিকেটারই নয়, সংগঠকদের দিকেও অভিযোগের আঙুল তুলেছেন নূরুল হাসান। বলেছেন, ক্রিকেট বোর্ডে ভালো সংগঠকদের আসা উচিত। তিনি বলেন, ‘কিছু মানুষকে নিয়ে আমার প্রশ্ন আছে। এমন মানুষ আসা উচিত নয়, যারা খেলাকে নিয়ে ব্যবসা করতে চায়, ব্যক্তিগত লক্ষ্য নিয়ে আসে। এখান থেকে রুটিরুজি বের করে সংসার চালাতে হবে, এমন কেউ সংগঠক হিসেবে যেন না আসে। আমরা ক্রিকেটার, খেলাধুলা করে টাকাপয়সা পাই। আলহামদুলিল্লাহ, আজ আমার গাড়ি-বাড়ি সব ক্রিকেটের মাধ্যমে হয়েছে। কিন্তু সংগঠকেরা যারা আসবে, তাদের প্রতিষ্ঠিত হয়ে আসা উচিত, ক্রিকেটের ভালোর জন্য আসা উচিত। এখান থেকে বাড়ি গাড়ি করার কিছু নেই।’ সংগঠক ও বিসিবি’র কর্মকর্তাদের বিপক্ষে নূরুল হাসান সোহান কিছু দুর্নীতির কথাও সংবাদ মাধ্যমের কাছে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘প্রথম শ্রেণির ম্যাচ যখন খেলেছি বিসিবি থেকে বরাদ্দ থাকে বিভাগীয় দলের জন্য ৩ লাখ টাকা। যেহেতু আমি অধিনায়ক ছিলাম, নিজের চোখে দেখেছি আমাদের জার্সি বানানো হয়েছে ৮০ হাজার টাকায়, ৩০ জন খেলোয়াড়ের জন্য। যা পরার মতো না।’ যে কারণে এখানে নিবেদিত প্রাণ সংগঠকদেরই আশা করেন জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া এই ক্রিকেটার। তার মতে নাজমুল আবেদিন ফাহিমের মতো মানুষ ক্রিকেটে আসলে উন্নতি হবে। তিনি বলেন, ‘ফাহিম স্যারের মতো (নাজমুল আবেদিন ফাহিম) মানুষ যারা আছেন, তারা ক্রিকেট ভালোবাসেন। এরকম মানুষই আসা উচিত যাকে নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই এবং কোনো বিতর্ক নেই। আশা করি অবশ্যই ভালো মানুষেরাই আসবেন। এখনো বোর্ডে কিছু ভালো মানুষ আছেন কিন্তু কাজ করার সুযোগ পাননি। তাই বাংলাদেশের ক্রিকেট যে জায়গায় থাকার কথা ছিল, সে জায়গায় এখন নেই।’
সব জায়গায় রাজনীতিকরণ করায় আজ দেশের অবস্থা বারোটা বাজিয়ে ফেলেছে। এতো তাড়াতাড়ি এমপি, মন্ত্রী, হুইপ হবে কেউ কল্পনায়ও আনেনি। ফলে যা হবার তাই হয়েছে বা হচ্ছে। ইংরেজীতে পড়েছিলাম, "Excess of anything is very bad." এই সংস্কৃতি থেকে আমাদের সবাইকে বেরিয়ে আসতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আছে আমাদের দাবি বাংলাদেশের সব জায়গায় অর্থাৎ সংবিধান থেকে শুরু করে প্রতিটি রাষ্ট্রযন্ত্রো আমূল সংস্কার করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
nice talk
সাকিব কে দ্রত বহিস্কার করুন।
LITON DAS must not be in team