রাজনীতি
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের মধ্যে ভীতি সঞ্চারে ভারতের ইন্ধন রয়েছে: হেফাজত
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ১১ আগস্ট ২০২৪, রবিবার, ৫:৫৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৫ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিপন্নকরণে ভারতের মদদ রয়েছে বলে দাবি করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান। আজ দলটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন তারা। বিবৃতিতে তারা বলেন, বাংলাদেশে সবসময় সংখ্যালঘু নির্যাতনের বেনিফিশিয়ারি হয়েছে ভারত ও স্বৈরাচার হাসিনা। গণ-অভ্যুত্থানের মুখে হাসিনা ভারত পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে ভারতের কিছু মুসলিমবিদ্বেষী মিডিয়া ও রাজনীতিক বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে এমন গুজব ছড়িয়ে বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা শুরু করেছে। সেটার প্রভাব হিসেবে এদেশের সংখ্যালঘুদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হয়েছে। এসবের নেপথ্যে ভারতের ইন্ধন রয়েছে বলে আমরা মনে করি। তারা আরো বলেন, পলাতক শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত আবারও প্রমাণ করেছে তারা হাসিনার মতো একজন ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারকে দেড় দশক বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ক্ষমতায় টিকে থাকতে সাহায্য করেছিল। ভারতের এমন বিতর্কিত ভূমিকা বাংলাদেশের জনগণকে ক্ষেপিয়ে তোলে এবং ভারত-বয়কটের প্রচারণা বাংলাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
তারা বলেন, সংখ্যালঘুদের জানমাল ও উপাসনালয় রক্ষায় প্রতিটি এলাকায় স্থানীয় ছাত্র-জনতা দ্রুত এগিয়ে আসায় ভারতের চক্রান্ত ব্যর্থ হয়ে গেছে। ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা অনেক বেশি সুবিধা ও নিরাপত্তা ভোগ করে। অপরদিকে, ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায় কী পরিমাণে রাষ্ট্রীয় নির্যাতন, বৈষম্য ও পরিকল্পিত দাঙ্গার শিকার হয়, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক রাষ্ট্রীয় নীতি ও আচরণ পরিবর্তনে ভারতকে আমরা আহ্বান জানাই। আমাদের দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা আমরা আপামর জনগণই নিশ্চিত করছি। এক্ষেত্রে ভারতের নাক গলানো এবং বাংলাদেশকে অস্থির করে তুলতে ভারতীয় ইন্ধনের আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
মূর্খ নির্যাতন, হামলা যদি না হতো তবে কেন হিন্দু রা জেগে উঠেছে। ভন্ড কোথাকার ইসলামের নামে কলঙ্ক। নারী দের সন্মান দিতে জানিসনা, ব্যভিচারে লিপ্ত হয়ে থাকিস।
বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্য সংখ্যালঘুদের উপর অত্তাচার অস্বীকার করা যাবে না। মাদ্রাসা ছাত্রদের অন্য ধর্মের মানুষকে সম্মান করা শিখতে হবে। হুজুর রা ছোট বেলা থেকে শিখাইসে অন্য ধর্ম হারাম , অন্য ধর্মের মানুষের বাড়ি খাওয়া যাবে না। এটা একমাত্র মুসলিম ধর্মেই আছে।
খুব সুন্দর এবং উপযুক্ত সময়ে হেফাজত ইসলামের বক্তব্য প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ। জাতীয় ক্লান্তি লগ্নে সকল দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক সংগঠনের কাছ থেকে এধরনের মন্তব্য কামনা করছি। কিছু রাজনৈতিক দল আছেন যারা ভারতের বিরাগভাজন হবেন বলে নীরব আছেন। তাদের ধিক্কার জানাই।