রাজনীতি
খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ৫ আগস্ট ২০২৪, সোমবার, ১০:২৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ২:১৮ অপরাহ্ন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার রাতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে একথা জানান।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে অর্থনীতিকে ধ্বংসপ্রাপ্ত করেছে, রাজনীতিকে ধ্বংস করেছে। সবমিলে দেশকে তারা ধ্বংস করে দিয়ে চলে গেছে। আজকে এই ভয়াবহ দানবীয় হাত থেকে জাতি ও দেশ আজকে মুক্তি পেলো। আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই, দেশপ্রেমী সেনাবাহিনীকে। তারা আজকে উপযুক্ত সময়ে পদক্ষেপ নিয়েছেন। পদক্ষেপ নিয়ে আমাদের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে তারা আলোচনা করার জন্য এখানে (বঙ্গভবন) ডেকে নিয়েছেন। আন্দোলনের মূল ছাত্র নেতাদেরও নিয়ে এসে কথা বলেছেন। তারা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলে কতগুলো মৌলিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরমধ্যে সংসদ ভেঙে দিয়ে অতিদ্রুত একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে, অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হবে।
তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত হয়েছে, হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরে যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, সেই অবস্থায়-বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো কাজ করবেন। ছাত্র নেতারা কাজ করবেন। আমি দেশবাসীকে আহ্বান জানাতে চাই, আসুন আমরা একটা বড় বিষয় ও সাফল্য অর্জন করেছি। সেই সাফল্যকে ধরে রাখতে, আবার সেটা যাতে অন্যদিকে প্রবাহিত না হয়- সেজন্য নিজেরা সংযমের পরিচয় দেই। ক্ষোভ, ঘৃণা এবং প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে আমরা যাতে আক্রমণ না করি। কোনো প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি না করি। বেগম খালেদা জিয়া আপনাদের কাছে সেই আহ্বান জানিয়েছেন যে, ধৈর্য ধরন, শান্ত হন। দেশ ও জাতিকে রক্ষা করুন। আজকে যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, সেই উদ্যোগকে সফল করুন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিদেশে নির্বাসিত করা হয়েছে। তিনি এই আন্দোলনে প্রতি মুহূর্তে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করেছেন। আর এই ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাকেও অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। সেটা আমরা সফল হবো, ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর এই স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম ও লড়াই করছি। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে। আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে তারা অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে জেলে নিয়েছে। আমাদের প্রায় ৬০ লক্ষ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তারা মিথ্যা মামলা দিয়েছে এবং অকথ্য নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়েছে এই শেখ হাসিনা সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন বিভিন্ন বিভাগের।
দেশের জেলে যারা পুরাতন রাজনীতিবিদ আছে তাদেরকে ডোমেস্টিক জেলের অনুমতি দিয়ে সেই কোটা আওয়ামীলীগের নুতন দুর্নীতি বাজ, রাজনীতিবাজদের ঢুকানোর ব্যাবস্থা করা হোক।
আলহামদুলিল্লাহ। শত অত্যাচার নির্যাতন আর নিপীড়নেও মাথা নত না করা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিতে দেশবাসী আনন্দিত। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। তিনি তাকে দীর্ঘ নেক হায়াত দান করুন। আমিন।
খালেদা জিয়ার মুক্তি গ্রহণ যোগ্য। মাত্র দুই কোটি টাকার জন্য এত লম্ভা কারাদণ্ড রাজনৈতিক। কিন্ত আমরা সব রাজনৈতিক দলের সরকার দেখেছি। ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার জন্য কালো আইন সবাই করেছেন। তাই আন্দোলন হয়েছে প্রাণ হানি হয়েছিল প্রচুর । কোন প্রাণ হানির সুবিচার হয় নি প্রতিটি সরকারি সংস্থাকে দলীয় করণ সব দলই করেছে। তাই সন্দেহ এই আন্দোলন ও কিডনাফ হবে ।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কখনও দাম্ভিকতা পছন্দ করেননা। আশা করি বিদেশে বেগম জিয়ার চিকিৎসার একটা ব্যবস্থা হবে।