রাজনীতি
একটি মহল সরকার বনাম শিক্ষার্থী গেম খেলে ফায়দা লোটার অপচেষ্টা করছে: ওবায়দুল কাদের
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ২ আগস্ট ২০২৪, শুক্রবার, ২:৪৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১০ পূর্বাহ্ন
কোটার দাবি পূরণের পরেও একটি মহল সরকার বনাম শিক্ষার্থী গেম খেলে ফায়দা লোটার অপচেষ্টা করছে। শিক্ষার্থীরা কারো ঢাল হিসেবে ব্যবহার হবে না-এমন আশা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শিক্ষার্থীদের মূল দাবি পূরণ হয়েছে। শিক্ষার্থীরা কোনো অবস্থাতেই সরকারের প্রতিপক্ষ নয়। আদালতে রায়ের পর দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তারপরও একটি মহল সরকার বনাম শিক্ষার্থী গেম খেলে ফায়দা লোটার অপচেষ্টা করছে। শিক্ষার্থীদের পুঁজি করে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।
সেতু মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের আওতা বাড়ানো হয়েছে। তিনজন বিচারপতিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্তে জাতিসংঘসহ যে কোনো দেশ কিংবা সংস্থা চাইলে যোগ দিতে পারে। সরকার তাকে স্বাগত জানাবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নিহতদের পরিবারের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। তাদের অনেকের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন। আহতদের দেখতে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শনে গেছেন।
এ সময় শিক্ষার্থীদের আটক প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের অযথা হয়রানি অথবা আটক না করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা যেন নির্বিঘ্নে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে সেজন্য পুনঃসময়সূচি করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবি যেহেতু পূরণ হয়েছে, সেহেতু বিশ্বাস করি শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে, পরীক্ষার হলে ফিরে যাবে। তারা কোনো অশুভ শক্তির ঢাল হিসেবে ব্যবহার হোক এটা জাতি চায় না।
নাগরিক সমাজকে গুরুত্ব দিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, তাদের ব্যক্তিগত মতামতকে কাজে লাগিয়ে তৃতীয় কোনো পক্ষ যাতে ফায়দা নিতে না পারে। রাষ্ট্রে শান্তি-শৃঙ্খলা, জনগণের জানমালের নিরাপত্তার বিষয়টি সকলের বিবেচনায় নেয়া উচিত।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধে দেশের জনগণ সাধুবাদ জানালেও অসন্তুষ্ট বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বিবৃতিতে স্পষ্ট বিএনপির সাথে জামায়াতের সম্পর্ক কতটা নিবিড়। সে কারণে তারা জামায়াত- শিবির নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে সাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক বলেছেন। বিএনপি-জামায়াত সব সময় গাটছড়া বেঁধে পথ চলেছে।
সেতু মন্ত্রী বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতি নিরসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের পেশাজীবী ও নাগরিক সমাজের সাথে মতবিনিময় শুরু করেছেন। পর্যায়ক্রমে সবার সাথেই মতবিনিময় করবেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া সহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
এখানে তৃতীয় কোন পক্ষ নেই। পক্ষ দুটি এক স্বৈরাচার অপর স্বৈরাচার বিরোধী।
Enough is enough, এইবার ছাত্র জনতার কাছে মাফ চেয়ে পদত্যাগ করুন। সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে, পালানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে?..... প্রতিটি ছাত্র জনতা হত্যার বিচার হবেই হবে।
কখনোই না।