অনলাইন
আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাকের ছেলের পোস্ট ঘিরে তোলপাড়
অনলাইন ডেস্ক
(৬ মাস আগে) ৩১ জুলাই ২০২৪, বুধবার, ৬:০১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ২:৩৩ অপরাহ্ন

সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বুধবার মতবিনিময় সভা ডেকেছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত হন সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা। এ সভায় ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে হাজির হন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তাকে দেখামাত্রই উত্তেজিত সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা চিৎকার দিয়ে ওঠেন। তারা বলেন, তিনি (ড. আব্দুর রাজ্জাক) এখানে কেন? তার ছেলে কেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সরকারবিরোধী পোস্ট করেছেন? বেলা ১১টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এমন বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে।
উল্লেখ্য, ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপির বড় ছেলে রেজুয়ান শাহরিয়াম সুমিত ছাত্রলীগের সমালোচনা করে গত ১৭ই জুলাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন বলে জানা গেছে।
এদিকে শুধু আব্দুর রাজ্জাক নয়, সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের তোপের মুখে পড়েন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও। বুধবার সাবেক ছাত্রনেতাদের মতবিনিময় সভায় ডেকে আলোচনা না করে সংবাদ সম্মেলন করায় হট্টগোল শুরু হয়। পরে সংবাদ সম্মেলন শেষ না করেই সভাস্থল ত্যাগ করেন সেতুমন্ত্রী।
পাঠকের মতামত
অন্যায় অধর্ম করে রাষ্ট্র পরিচালনা করে জুলুম করে পৃথিবীর বুকে কেউ শান্তি শান্তি পায়নি।
সাবেক কৃষি মন্ত্রী আঃ রাজ্জাক বলেছিল, তারা যদি বিএনপির ২০ হাজার লোক গ্রেফতার না করতো তাহলে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারতো না। তার সেই বক্তব্য থেকে পরিস্কার যে, সরকার আইন ব্যবস্থাকে তাদের হাতে তুলে নিয়েছো, ইচ্ছা মত ব্যবহার করছে। গ্রেফতারের পাশাপাশি পুলিশ, আনসার, বিজিব, এমনকি সেনাবাহিনী দিয়ে হাজার হাজার লোক গুম, খুন করেছে নির্বিকার হয়ে।
মত প্রকাশের স্বাধীনতা কে কেন্দ্র করে ই স্বাধীনতা সংগ্রামের শুরু হয়েছিল একথা আওয়ামী লীগ কবে যে বুঝবে
ছাত্র আন্দোলন কোনো একটি পক্ষের আন্দোলন নয়। এটা পুরো ছাত্রসমাজেরই আন্দোলন। এটাকে রাজনৈতিক রূপ দিয়ে কোনো লাভ হবে না। জনাব রাজ্জাক সাহেবের ছেলে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে পোস্ট দিয়ে অন্যায় কিছু করে নাই। বিবেকের তাড়নায় ছেলেটি প্রতিবাদ করেছে। যারা এই আন্দোলনকে সমর্থন করবে না তারা এই দেশের নাগরিক হিসেবে কিভাবে পরিচয় দেবে? এই ইস্যুটিকে আওয়ামী লীগের নেতারা বিশেষ করে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের গংরা তুচ্ছতাচ্ছিল্যভাবে নিয়ে আজ এই অবস্থার সৃষ্টি করেছে। দীর্ঘদিন অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে থাকতে ফেরাউনের স্বভাব চলে এসেছে আওয়ামী লীগের মধ্যে। তারা ধরাকে সরার জ্ঞান মনে করেছে। তাদের জন্য এই রকম একটি আন্দোলনের দরকার ছিলো।
আওয়ামী লীগোরদের এখানেই সমস্যা! তারা কখনোই বুঝতে চায় না যে, মত প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রত্যেক মানুষের স্বাধীনতা রয়েছে।
রাতের ভোট আবার কবে হবে?
His son did the right thing.
রাষ্ট্রের সমালোচনা করা যাবে না। সরকা