দেশ বিদেশ
সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সেতু ভবনে আগুন লুটপাটে জড়িতদের ধরা হচ্ছে: হারুন
স্টাফ রিপোর্টার
২৫ জুলাই ২০২৪, বৃহস্পতিবারঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে ঢাকা মহানগরীতে সরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর, সহিংসতা ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড হয়েছে। এসব ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। জড়িত অনেকের নাম পরিচয় পাওয়া গেছে। গতকাল সেতু ভবনে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া ও লুটপাটের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তারের পর এ কথা বলেন তিনি। গ্রেপ্তার দুজন হলেন- জজ মিয়া ও মো. রাকিব। মঙ্গলবার রাতে মহাখালী থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মিন্টু রোডের নিজ কার্যালয়ে হারুন বলেন, আন্দোলনের নামে ঢাকা শহরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাট করা হয়েছে। মনোবল ভেঙে দেয়ার জন্য পুলিশকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা ও আহত করেছে। তথ্যপ্রযুক্তি ডাটা সেন্টারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালায়। হামলার রসদ সরবরাহ করার তথ্যপ্রমাণ আমাদের হাতে আছে। মহাখালীর সেতু ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের জন্য জামায়াত-শিবির ও বিএনপি’র কিছু নেতা টাকা পয়সা দিয়ে সাততলা বস্তি এবং কুড়িল বস্তিসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন সংগ্রহ করেছে। এরপর মহাখালীতে জড়ো হয়ে ইটপাটকেল শুরু করে। পরবর্তীতে তারা সেতু ভবনে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং লুটপাট চালায়। আমাদের হাতে আসা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে তারা কীভাবে আগুন লাগায় এবং মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় জড়িত অনেকের নাম পরিচয় পেয়েছি।
হারুন বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ২ জনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭ বিএনপি ও জামায়াত নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন- ঢাকা উত্তর যুবদলের সাবেক সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর, বিএনপি নেতা বরকত উল্লাহ বুলুর ছেলে সানিয়াত বুলু, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি মোশারফ হোসেন খোকন, কৃষক দলের সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন, ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান দয়াল, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা এস এম কামাল উদ্দিন ও ভাটারা থানার আমীর রেজাউল করিম।