খেলা
অভিজ্ঞদের ওপর ভরসা রাখছেন শান্ত
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৭ জুলাই ২০২৪, বুধবার
আগামী মাসে পাকিস্তান সফর করবে বাংলাদেশ। সফরে দু’টি টেস্ট খেলবে টাইগাররা। সাম্প্রতিক সময় ব্যাটারদের ফর্ম অনুযায়ী পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট খেলা বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জিং মনে করছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে সেই চ্যালেঞ্জ উতরাতে তার ভরসা অভিজ্ঞরা।
গতকাল ঢাকায় একটি কুইজের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজে দলের সম্ভাবনা ও প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলেন শান্ত। সেখানে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং হবে, তারা খুবই ভালো দল। তবে আমার মনে হয় এই ফরম্যাটে আমাদেরও বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছেন। মুশফিক ভাই, মুমিনুল ভাইসহ আরও বেশ কয়েকজন। আমরা যদি আমাদের অভিজ্ঞতাটা কাজে লাগিয়ে শক্তি অনুযায়ী খেলতে পারি, সিরিজটা অবশ্যই ভালো হবে।’ গত কয়েক মাস টানা টি-টোয়েন্টি খেলেছে বাংলাদেশ। হাই পারফরম্যান্স বিভাগের একটা দল অস্ট্রেলিয়ায় গেছে চার দিনের ম্যাচ খেলতে। চট্টগ্রামে চলছে ‘টাইগার্স’ ক্রিকেটারদের অনুশীলন। অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া ক্রিকেটারদের মধ্য থেকে যারা টেস্ট দলে সুযোগ পাবেন, তারা পাকিস্তান সিরিজের আগে প্রস্তুতির ভালো একটা সুযোগ পেলেন। আবার যারা দেশে আছেন, সফরের আগে চট্টগ্রামে তারাও দু’টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন। তবে লম্বা সময় পর মাঠে নামলেও টেস্টে ফেরার প্রস্তুতিটা ভালো করার সুযোগ দেখছেন অধিনায়ক।
শান্ত বলেন, ‘সিরিজের আগে সবাই প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট সময় পাচ্ছে। আশা করি ভালোই হবে। সব পরিকল্পনাই করা আছে। প্র্যাকটিস ম্যাচ আছে এবং যাওয়ার আগে প্র্যাকটিস সেশনও থাকবে। এগুলো করে যতটা সম্ভব ভালো প্রস্তুতি নিয়ে যেতে চাই।’
সাম্প্রতিক সময়ে যেকোনো ফরম্যাটেই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যার নাম ব্যাটিং। পাকিস্তানের মাটিতে তাদের পেস বোলারদের সামনে ব্যাটাররা কেমন করবেন সেটা নিয়েও আছে শঙ্কা। পাকিস্তানের মাটিতে গিয়ে তাদের বিপক্ষে টেস্ট খেলাটাকে চ্যালেঞ্জিং মনে হচ্ছে শান্তরও।
টেস্ট ক্রিকেটে এখনই রিশাদকে দেখছেন না শান্ত। কিছুদিন আগেও বাংলাদেশে লেগ স্পিনার নিয়ে হাহাকার ছিল। এখন যে একদমই নেই তা নয়। তবে রিশাদ হোসেন আশা দেখাচ্ছেন। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের রেকর্ড ১৪ উইকেট নেন তিনি। আগামী মাসে পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। সেখানে রিশাদ জায়গা পাবেন কিনা তা নিয়ে রয়েছে কৌতূহল। তবে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বললেন, তিনি মনে করেন রিশাদ এখনো লাল বলের ক্রিকেটের জন্য প্রস্তুত নন।
সেখানে রিশাদের টেস্ট খেলার সম্ভাবনা নিয়ে তিনি প্রথমে বলেন, নির্বাচকদের কাছে জানতে চাইলেই ভালো হবে। এরপর অবশ্য নিজেই বললেন, ‘আমার যতটুকু মনে হয়, আমার মনে হয় না এই মুহূর্তে ও লাল বলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।’
রিশাদের ভালো করায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলের স্পিন কোচ মুশতাক আহমেদের ভূমিকাকে বড় করে দেখছেন অনেকে। তবে শান্ত এর সঙ্গে স্থানীয় কোচদেরও কৃতিত্ব দিতে চান। টাইগার অধিনায়ক বলেন, ‘খুবই ভালো কাজ করেছেন মুশতাক। রিশাদসহ অন্য স্পিনাররাও উনার সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পেরেছে। তবে আমি শুধু মুশতাক আহমেদকেই কৃতিত্ব দিতে চাই না। রিশাদ কিন্তু তারও আগে থেকে আমাদের স্থানীয় কোচদের কাছে কোচিং নিচ্ছিলো।’ পাকিস্তানের সাবেক লেগ স্পিনার মুশতাক আহমেদ বিশ্বকাপ খেলোয়াড় হিসেবে অভিজ্ঞতাও অনেক বছরের। নাজমুলের ধারণা, টেকনিক্যাল বিষয়ের চেয়ে এসব অভিজ্ঞতাই মুশতাক ভাগাভাগি করেন রিশাদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘টেকনিক্যালি স্থানীয় কোচরা সাহায্য করেছেন। তাকে প্রেরণা জোগানো, তার ঘাটতিগুলো ধরিয়ে দেয়া। কাজেই কৃতিত্বটা সবাইকেই দেয়া উচিত।’