খেলা
স্পেন-আর্জেন্টিনার ফিনালিসিমায় কেন ‘দুই ভাগ হবে’ স্কালোনির পরিবার
স্পোর্টস ডেস্ক
১৬ জুলাই ২০২৪, মঙ্গলবার
দুই দিন আগে স্প্যানিয়ার্ড তারকা লামিন ইয়ামাল আশা প্রকাশ করে বলেছিলেন, ইউরোয় স্পেন এবং কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনা যেন চ্যাম্পিয়ন হয়। যাতে দুই মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়নের ফিনালিসিমায় মেসির সঙ্গে তার দেখা হয়। আশা পূর্ণ হয়েছে লামিন ইয়ামালের। রোববার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে মহাদেশীয় দুই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে স্পেন ও আর্জেন্টিনা। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারায় স্পেন। আর কোপা আমেরিকার ফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ১-০ গোলে জয় পায় আর্জেন্টিনা। ইউরোপ ও আমেরিকা মহাদেশের দুই চ্যাম্পিয়ন দলের লড়াই ফিনালিসিমা বা গ্র্যান্ড ফাইনালে ইয়ামাল-মেসির মুখোমুখি হওয়াটা তাই সময়ের ব্যাপার। এ নিয়ে কথা বললেন আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনওি। বলেন, ‘আমাদের যদি (ফিনালিসিমা) খেলতে হয়, তাহলে আমি সমস্যাতেই পড়বো কারণ, আমার পরিবার দুই ভাগ হয়ে যাবে!’
কিন্তু কখন দেখা যাবে সেই ম্যাচ? হবে কোথায়? এখন পর্যন্ত পরবর্তী ফিনালিসিমার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি। তবে ইউরোর আয়োজক উয়েফা এবং কোপা আমেরিকার আয়োজক কনমেবলের মধ্যে যে চুক্তি মোতাবেক ২০২৮ সালের ৩০শে জুন পর্যন্ত দুই মহাদেশের চ্যাম্পিয়নদের মধ্যে ফিনালিসিমা অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত। চুক্তি অনুযায়ী, দুই মহাদেশের সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন দল একে অপরের মুখোমুখি হবে। এর অর্থ হলো ২০২৫ সালের জুন-জুলাইয়ের মধ্যেই ফিনালিসিমা অনুষ্ঠিত হবে।
সর্বশেষ ফিনালিসিমা হয়েছিল ২০২২ সালে, তখনকার চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ও ইতালির মধ্যে। ম্যাচটি হয়েছিল ইংল্যান্ডের ওয়েম্বলিতে। আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস বলছে, ২০২৫ ফিনালিসিমা হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রে। যুক্তরাষ্ট্র এবারের কোপা আমেরিকার ভেন্যু ছিল, ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজকও এই দেশ। আর বিশ্বকাপকেন্দ্রিক ভাবনার কারণে স্পেনও সেখানে খেলতে যেতে চাইতেই পারে। ১৯৮৫ সালে প্যারিসে মুখোমুখি হয়েছিল উরুগুয়ে-ফ্রান্স, যা তখন ‘আরতেমিও ফ্রানসি কাপ’ নামে পরিচিত ছিল। পরেরটি হয় আর্জেন্টিনার মার দেল প্লাতায় ১৯৯৩ সালে, যে ম্যাচে আর্জেন্টাইনদের প্রতিপক্ষ ছিল ডেনমার্ক।
গতকাল কোপা আমেরিকা জয়ের পর আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনিকে পরবর্তী ফিনালিসিমা নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে অম্লমধুর অনুভূতির কথাই জানান তিনি, ‘এটা কি হবে? আমার পরিবারের একটা অংশ স্প্যানিশ। দেশটার সঙ্গে আমার বিশেষ একটা বন্ধন আছে। আমি ওখানেই থাকি, কোচকেও (লুইস দে লা ফুয়েন্তে) চিনি। স্পেন ইউরো জেতায় আমি খুশি। আর আমাদের যদি (ফিনালিসিমা) খেলতে হয়, তাহলে আমি সমস্যাতেই পড়বো। কারণ, আমার পরিবার দুই ভাগ হয়ে যাবে। ওটা চমৎকার ম্যাচই হবে। কারণ দুটো দলই দুর্দান্ত ফর্মে আছে এবং একে অপরের চেয়ে ভিন্নভাবে খেলে।’