অনলাইন
ভুল বোঝাবুঝি মিটেছে, শিক্ষকদের ‘প্রত্যয়’ স্কিম আগামী বছর চালু হবে: ওবায়দুল কাদের
অনলাইন ডেস্ক
(১১ মাস আগে) ১৩ জুলাই ২০২৪, শনিবার, ৩:৩৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৯ পূর্বাহ্ন

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’ আগামী বছর থেকে চালু হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১৩ জন শিক্ষকনেতা এসেছিলেন। তাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এবং একটা বিষয়ে ভুল বোঝাবুঝি মিটেছে। অচিরেই সমস্যার সমাধান হবে।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন তারা। বৈঠক শেষ হয় পৌনে ১টার দিকে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর সবাই যুক্ত হবেন ২০২৫ সালের ১লা জুলাই। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ২০২৪ সালের ১লা জুলাই থেকে পেনশনে যোগদানের বিষয়ে যে তথ্য ছিল, সেটা সঠিক না। তাদের তিনটা দাবির মধ্যে এটাও একটা দাবি। সবার মতো তারাও ২০২৫ সালের ১লা জুলাইয়ে যোগ দেবেন এটা নিশ্চিত করা হয়েছে।
শিক্ষকদের সুপার গ্রেড ও স্কেল প্রদানের বিষয়টি আলোচনা হবে এবং তাদের দাবি প্রধানমন্ত্রীর কাছে উত্থাপন করা হবে উল্লেখ করে কাদের বলেন, শিক্ষকরা সাংগঠনিকভাবে ফেডারেশনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। তবে শিক্ষকদের সব দাবি চট করে মানা যাবে না, সরকারেরও যুক্তি আছে। তাদের দাবি যুক্তিসংগত হলে বিবেচনা করা হবে। শিক্ষকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করার অনুরোধ করা হয়েছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
ওদিকে এর আগে বৈঠক শেষে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘আলোচনা সন্তোষজনক হয়েছে। আমরা ফেডারেশনের সঙ্গে কথা বলার পরে সিদ্ধান্ত জানাবো’।
পেনশন স্কিম নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করার কথা, সেটি আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে কেন—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন,‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের পাশাপাশি সরকারের মন্ত্রী আমাদের নিয়ে বসেছেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক ও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন্নাহার চাপা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে শিক্ষকদের প্রতিনিধি দলে ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. আখতারুল ইসলাম, মহাসচিব অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, শিক্ষক নেতা অধ্যাপক ড. আবদুর রহিম ও অধ্যাপক শফিউল আলম ভূঁইয়া প্রমুখ।
পাঠকের মতামত
প্রত্যয় স্কিনের টেকনিক্যাল দিকগুলো মাননীয় শিক্ষকদের ভালোভাবে সরকারকে বুঝানো উচিত ছিল। এই আলোচনাটা হলে অন্যান্য স্কিম ভুক্ত জনসাধারণেরও উপকার হত। প্রকৃতপক্ষে এটাতো ব্যাংক ডিপোজিট স্কিম!
তবে কি তাদের আন্দোলন আমলাদের সমান হওয়ার জন্যে ছিল? শিক্ষকরা কি ইদানিং হীনমন্যতায় ভোগেন? অবশ্য ভোগবেন ই না কেন চাকুরি তো আর পরীক্ষা দিয়ে পেতে হয়নি!