অনলাইন
মিরনজিল্লায় হরিজন সম্প্রদায়ের ওপর হামলা নিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে : কাউন্সিলর আউয়াল
অনলাইন ডেস্ক
(৯ মাস আগে) ১২ জুলাই ২০২৪, শুক্রবার, ৪:৫৯ অপরাহ্ন

মিরনজিল্লায় হরিজন সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ডিএসসিসির ৩৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী আউয়াল বলেছেন, হরিজন সম্প্রদায় আমার ভোটার। আমি কেনো তাদের উচ্ছেদ করতে যাবো। সেদিন আমি সিটি কর্পোরেশন এবং ম্যাজিট্রেট নির্দেশ মোতাবেক স্থানীয় কাউন্সিলর হিসেবে সেখানে উপস্থিত হয়েছিলাম।
শুক্রবার নিজ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে কাউন্সিলর আউয়াল বলেন, গত ৬ জুন নগরভবনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র ফজলে নূর তাপস হরিজনদের বসতি বংশালের মিরনজিল্লা পল্লীতে নির্মিত বরাদ্দকৃত ফ্লাট তাদের বুঝিয়ে দেন। এর একমাস অতিবাহিত হলেও তারা বরাদ্দকৃত ফ্লাটে না উঠায় ৯ জুলাই ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান আমাকে একটি চিঠি দেন। চিঠি উল্লেখ করা হয়, বুধবার ম্যাজিট্রেট মনিরুজ্জামানসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বুধবার হরিজনদের নিজ ফ্লাটে ওঠার জন্য তাগিদ দিতে জল্লায় যাবেন। সেখানে আপনি স্থানীয় কাউন্সিলর হিসেবে আপনি উপস্থিত হবেন। সে মোতাবেক ম্যাজিট্রেটসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা মতিউর রহমান স্কুলে পুলিশ উপস্থিত হলে আমি সেখানে উপস্থিত হই। সেখানে ম্যাজিট্রেট-এর নির্দেশে অঞ্চল-৪ এর বর্জ্য সহকারী আজগর বরাদ্দ পাওয়া হরিজনদের হাজির করেন এবং তিনি নির্দেশনা প্রদান করেন আজকের মধ্যে যদি আপনারা বরাদ্দ পাওয়া নিজ ফ্লাটে না ওঠেন তাহলে আপনাদের বরাদ্দ বাতিল করা হবে। এখানে বরাদ্দ পাওয়া জনের মধ্যে ৫১ জন উপস্থিত হোন। তখন ফ্লাট বরাদ্দ পাওয়া হরিজনরা জানান, এখানে আসার সময় হরিজন নেতারা বাধা দিয়েছে। তখন ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে আজগর, ওয়ার্ডের সিআই এবং ফ্লাট নির্মাণের ঠিকাদার বরাদ্দ পাওয়া মিরনজিল্লা পল্লীতে হরিজনদের ফ্লাটে নিয়ে গিলে সেখান থেকে আজগর মুঠোফোনে ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামানকে জানান, হরিজন সম্প্রদায়ের নেতারা বরাদ্দপ্রাপ্ত হরিজনদের ফ্লাটে ঢুকতে দিচ্ছে না। তখন ম্যাজিস্ট্রেট আমাকে তার সাথে স্পটে যাওয়ার কথা বললে আমিও তাদের সাথে যাই। সেখানে গেলে হরিজন নেতারা ম্যাজিস্ট্রেটসহ আমাদের সেখান থেকে চলে আসতে বলেন। এদিকে ফ্লাট প্রাঙ্গণে ম্যাজিস্ট্রেট-এর উপস্থিতি দেখে বরাদ্দ পাওয়া হরিজনরা নিজ ফ্লাটে যেতে সাহস পান। এ অবস্থায় হরিজনদের দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে। তখন আমরা স্থান ত্যাগ করার সময় আমাদের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় হরিজনদের ছোঁড়া ইটপাটকেলে স্থানীয় কয়েকজন আহত হলে একপর্যায়ে এ সংঘর্ষে এলাকাবাসী জড়িয়ে পড়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
অথচ, একটি মহল রাজনৈতিক স্বার্থ হাছিল করার জন্য আমাকে জড়িয়ে হরিজনদের নিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে। তারা আমার নির্বাচনী এলাকার ভোটার। আমি কেনো তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিবো।