ঢাকা, ১৬ মার্চ ২০২৫, রবিবার, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ রমজান ১৪৪৬ হিঃ

প্রথম পাতা

আন্দোলনকে রাজনৈতিক রূপ দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
১২ জুলাই ২০২৪, শুক্রবারmzamin

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অনতিবিলম্বে ব্লকেড থেকে সরে এসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে চলমান আন্দোলন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানান তিনি।

সাদ্দাম বলেন, কোটা নিয়ে আদালতের রায়ের পর সাধারণ শিক্ষার্থীরা ফিরে এসেছে। এখন যারা আন্দোলনে আছে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। কোটার যৌক্তিক সংস্কার ও সামঞ্জস্যপূর্ণ সমাধান ছাত্রলীগও চায়। এ ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে যেকোনো সমস্যার সমাধানে বিশ্বাসী ছাত্রলীগ। তিনি বলেন, কোটার বিষয়ে পক্ষগুলোকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে সরকারি চাকরিতে চলতি সময়ে আর কোনো কোটাব্যবস্থা প্রচলিত নেই। কিন্তু ২০১৮ সাল থেকে কোটাব্যবস্থা তুলে দেয়ায় নারীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ সংকুচিত হয়ে যায়, যা দেশের সামগ্রিক অগ্রগতির জন্য অন্তরায় বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। কোটা উঠে যাওয়ার পর উন্নয়নের মূলধারা থেকে নারীরা ছিটকে পড়েছেন। অন্যদিকে জেলা কোটা না থাকায় বঞ্চিত দেশের বিভিন্ন অঞ্চল। একইভাবে সমাজের পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর জন্যও এ কথা প্রযোজ্য। 

ছাত্রলীগ সভাপতি আরও বলেন, সরকারি চাকরির প্রতিটি পরীক্ষায় একজন পরীক্ষার্থীকে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভার প্রতিটি ধাপ পার হয়ে আসতে হয়। তাই ‘কোটা না মেধা’ স্লোগানটি একটি ভিত্তিহীন, কল্পনাপ্রসূত ও উদ্দেশ্যমূলক প্রচারণা। এখানে মেধার বিপরীতে মেধার প্রতিযোগিতায় সমাজের অনগ্রসর অংশকে কিছুটা এগিয়ে দেয়া হয়, যা পুরোপুরি ন্যায় ও সংবিধানসম্মত।

হাইকোর্টের রায়ের পরেও আন্দোলন অব্যাহত রাখার সমালোচনা করে ছাত্রলীগের এই শীর্ষ নেতা বলেন, আদালতের চূড়ান্ত রায় পর্যন্ত অপেক্ষা না করে, বিচারিক প্রক্রিয়ায় পক্ষভুক্ত হয়ে নিজেদের বক্তব্য তুলে না ধরে আন্দোলনের নামে প্রকৃতপক্ষে সাধারণ জনগণের জীবনযাত্রা ব্যাহত করার প্রচেষ্টা চলছে, যা কোনোভাবেই যৌক্তিক পদক্ষেপ নয়। এই আন্দোলনের কারণে চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটছে। হাসপাতালে রোগীদের যাতায়াত সম্ভব হচ্ছে না। জরুরি রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনীয় সম্পদ (যেমন তেল, গ্যাস, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পরিবহন) দুরূহ হয়ে উঠছে। কর্মজীবী-শ্রমজীবী মানুষের জীবনযাত্রা অচল হয়ে যাচ্ছে। আন্দোলন-আন্দোলন খেলা ও ‘হিরোইজম’ প্রদর্শনের এই মানসিকতা দেশের শিক্ষিত তরুণ সমাজের প্রতি সাধারণের বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে। এমন অবস্থায় কোটা বাতিল বা সংস্কারের জন্য দেশব্যাপী যে আন্দোলন হচ্ছে, সে সম্পর্কে পুনর্ভাবনার প্রয়োজন রয়েছে। নিজেদের দাবি ও সুনিশ্চিত ভবিষ্যৎ চিন্তার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের বিষয়টি আন্দোলনকারীরা কোনোভাবেই এড়িয়ে যেতে পারেন না। বিষয়টি এমন পর্যায়ে চলে যাচ্ছে, যেন ‘সাধারণ জনগণ বনাম শিক্ষার্থী’-এমন একটি অবস্থা দাঁড়িয়ে গেছে।

পাঠকের মতামত

ছাএলীগ নেমেছে তো?আন্দোলন সফলতা লাভ করবেই।

No name
১২ জুলাই ২০২৪, শুক্রবার, ২:৩৭ অপরাহ্ন

আমাদের উচিত সাদাকে সাদা কালোকে কালো বলা। বাস্তবতার নিরিখে মন্তব্য করা। অন্যকে জ্ঞান দেয়া পূর্বে নিজের জ্ঞান কতটুকু আছে বা আদৌও আছে কি পরখ করে দেখে নেয়া।

Mohammad Jahirul Isl
১২ জুলাই ২০২৪, শুক্রবার, ৭:১৪ পূর্বাহ্ন

প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন

প্রথম পাতা সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status