দেশ বিদেশ
কওমি মাদ্রাসার ছাত্রদের জঙ্গিবাদের তকমা লাগানোর অপচেষ্টা চলছে: হেফাজত
স্টাফ রিপোর্টার
২ জুলাই ২০২৪, মঙ্গলবারআইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু ইসলামবিদ্বেষী কর্মকর্তা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে কওমি মাদ্রাসার ছাত্রদের টার্গেট করে জঙ্গিবাদের তক্মা লাগানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সোমবার এক বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর আমীর আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান এ অভিযোগ করেন।
নেতৃদ্বয় বলেন, সরকারের সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল মহল থেকে বারবার এ রকম বক্তব্যের পরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু ইসলামবিদ্বেষী কর্মকর্তা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে কওমি মাদ্রাসার ছাত্রদের টার্গেট করে জঙ্গিবাদের তক্মা লাগানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সাদা পোশাকে ধরে নিয়ে গিয়ে কয়েকদিন গুম রেখে পরে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত বলে কল্পিত অভিযোগ দিয়ে গ্রেপ্তারের নাটক সাজিয়ে দেশ-বিদেশে মাদ্রাসা ছাত্রদের সন্ত্রাসী হিসেবে প্রমাণ করতে এরা উঠেপড়ে লেগেছে। যা কওমি মাদ্রাসা ও আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিত চক্রান্ত। জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার দু’জনসহ গ্রেপ্তারকৃত তিন ছাত্রকে কোন অপরাধে জঙ্গি বানানো হলো, তা জাতি জানতে চায়?
তারা বলেন, জঙ্গি ট্রাম্পকার্ড ব্যবহার করে পশ্চিমাদের আগের মতো বোকা বানানো যাবে না। মিথ্যা নাটকের কারণে নিষেধাজ্ঞা খেয়ে দেশের ভাবমর্যাদা আগেই ধুলায় লুটিয়ে দেয়া হয়েছে। তবুও এখন জঙ্গি নাটক করা হচ্ছে কওমি মাদ্রাসা ধ্বংস করার এজেন্ডা বাস্তবায়নের স্বার্থে। আমরা দেশে শান্তিতে থাকতে চাই, আলেম-ওলামা ও ছাত্রজনতাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে, গ্রেপ্তার ও হয়রানি করে সরকারের সঙ্গে সংঘাত তৈরি করবেন না। এসব অন্যায় কর্মতৎপরতা বন্ধ করা না হলে দেশের আপাময় জনতা কখনোই নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবে না।
নেতৃদ্বয় বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি যে- গত বুধবার ঢাকার সাইনবোর্ড থেকে হাতের লেখা প্রশিক্ষণ শেষে বাড়ি যাওয়ার পথে কুমিল্লা থেকে জামিয়া পটিয়ার ছাত্র উজায়ের ও হামিমকে এবং লক্ষ্মীপুর থেকে নেয়ামতুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন। নিরীহ এই ছাত্রদের গ্রেপ্তারের তিনদিন পর তাদেরকে কক্সবাজারে জঙ্গি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।