দেশ বিদেশ
শ্রেণিকক্ষে ৭০ শতাংশ উপস্থিতি নিশ্চিত হলে কিশোর গ্যাং কমবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সংসদ রিপোর্টার
২ জুলাই ২০২৪, মঙ্গলবারসারা দেশে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতি নিশ্চিত করা হলে কিশোর গ্যাংসহ সমাজে নানা অপরাধ কমে আসবে বলে মনে করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত থাকলে বিভিন্ন অপরাধমূলক ও অসামাজিক কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকবে এবং মনোজগতের উন্নততর বিকাশ ঘটবে। ফলশ্রুতিতে কিশোর গ্যাংসহ সমাজে নানা অপরাধ কমে আসবে। গতকাল জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। সরকারি দলের সদস্য এম. আবদুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক সময় সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শ্রেণিকক্ষে নিয়মিত উপস্থিতির ওপর নির্দিষ্ট নম্বর প্রদান, পরপর কয়েকদিন অনুপস্থিত থাকলে জরিমানাসহ বিদ্যালয় পরিত্যাগ সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ নিয়মিত পরিদর্শন করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রম যেমন- খেলাধুলা, চিত্রাঙ্কন, বিতর্ক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রভৃতি নিয়মিত আয়োজন করা হয়। একই প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে তাদের অভিভাবকদের অবগত করা ও সময় সময় অভিভাবক সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
পরবর্তী জনশুমারি ২০৩১ সালে
আওয়ামী লীগের মাহমুদুল হক সায়েমের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম সংসদকে জানিয়েছেন, আগামী ২০৩১ সালে পরবর্তী জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হবে। পরিসংখ্যান আইন, ২০১৩ এর ৬(গ) ধারা মোতাবেক আদমশুমারি শব্দের পরিবর্তে জনশুমারি করা হয়েছে। ২০২২ সালের ১৫ থেকে ২১শে জুন দেশে সর্বশেষ জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হয়। সে অনুযায়ী দেশে বর্তমান মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৮ কোটি ৪১ লাখ ৩৪ হাজার ৩ জন, নারী ৮ কোটি ৫৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭৮৪ জন ও হিজড়া ৮ হাজার ১২৪ জন। তিনি আরও জানান, পরিসংখ্যান আইন, ২০১৩ এবং সেন্সাস অর্ডার, ১৯৭২ অনুযায়ী শুমারি অনুষ্ঠিত হয়। অতীতের ধারাবাহিকতায় আগামী ২০৩১ সালে পরবর্তী জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হবে।