বিনোদন
ব্যবহার বিভ্রাট: একটি সমাজ সচেতনতামূলক নাটক
স্টাফ রিপোর্টার
২৪ জুন ২০২৪, সোমবার
প্রযুক্তি এগিয়ে চলছে। নিত্যনতুন আবিষ্কার হচ্ছে। এসব প্রযুক্তির মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মোবাইল ফোন। অপব্যবহারের কারণে ঘটছে নানান দুর্ঘটনা। সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে নোংরামি। ভেঙে যাচ্ছে অনেক সুখের সংসার। ‘ব্যবহার বিভ্রাট’ নাটকে অত্যন্ত সার্থকভাবে মোবাইল ফোনের অপব্যবহারের কারণে সমাজ দূষণের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। বরেণ্য নির্মাতা হানিফ সংকেতের রচনা ও পরিচালনায় নাটকটি নির্মিত হয়েছে। মাত্র ৪টি চরিত্রের মাধ্যমে চমৎকার একটি শিক্ষামূলক নাটক উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। নাটকটি প্রচারিত হয়েছে ঈদের দিন রাতে এটিএন বাংলায়। তথাকথিত তারকাবিবর্জিত এই নাটকে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন সৌম্য জ্যোতি ও মেঘলা সুহাসিনী টুপুর। নতুন হলেও তাদের অভিনয় নৈপুণ্য এবং হানিফ সংকেতের নির্মাণ দক্ষতায় বোঝাই যায়নি তারা নতুন। তাদের সঙ্গে ছিলেন শক্তিমান অভিনেতা ইন্তেখাব দিনার। একটি গার্মেন্টস কারখানায় সুপারভাইজার পদে চাকরি করেন ইন্তেখাব দিনার আর সৌম্য সেই কারখানারই নিরাপত্তাকর্মী। নাটকে তার নাম জামাল এবং তার স্ত্রীর নাম জমিলা। দিনারের চরিত্রের নাম করিম।
নাটকে করিমের কিছু সংলাপের মাধ্যমেই বোঝা যায় মোবাইল ফোন আসক্তি ও এর অপব্যবহার আমাদের কতোটা ক্ষতি করছে। করিম একসময় জামালের কাছে তার দুঃখের কথা বলতে গিয়ে বলে, আমার জীবন থেইক্কা সুখ-শান্তি কাইড়া নিছে ওই মোবাইল। আমার সংসারের শান্তি নষ্ট কইরা অশান্তির ঝড় শুরু হইছে মোবাইলের কারণে। ওই মোবাইল এখন আমার শত্রু। স্বামী-সন্তান ফালাইয়া আমার বউ সারাদিন এখন ওই মোবাইল ফোন লইয়া পইড়া থাকে। এইডা যেন এক ভূতের আছড়। আমার সংসারের সুখ আটকাইয়া গেছে ময়নার ওই মোবাইলে। নাটকটির প্রতিটি চরিত্রই বাস্তব। ঘটনাপ্রবাহ আমাদের চারিদিকে ঘটমান নিয়মিত দৃশ্য। করিম আর জামালের মতো অনেক পরিবারই এই মোবাইল যন্ত্রণায় অশান্তিতে ভুগছে। শুধু স্বামী-স্ত্রী নয়, সন্তানরাও দিন দিন মোবাইল অ্যাডিক্টেড হয়ে পড়ছে। ঠিক এই সময়ে ঈদের দিনে দর্শকদের কাছে এ ধরনের একটি বার্তা পৌঁছে দেয়ার জন্য হানিফ সংকেতকে ধন্যবাদ। নাটকটি দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। এ ধরনের জীবনধর্মী-সমাজ সচেতনতামূলক নাটকের সংখ্যা যত বাড়বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অসামাজিক অপবাদও তত কমবে।
পাঠকের মতামত
সৌম্য জ্যোতির সাথে টুপুর কে মানায় নি টুপুর তো ঠিকমতো কথাই বলতে পারে না। হানিফ সংকেতের মতো একজন গুনি পরিচালক এ রকম একটা মেয়ে কে নিয়ে নাটক বানাবে ভাবাই যায় না।