দেশ বিদেশ
দোয়ারাবাজারে পাহাড়ি ঢলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
১৬ জুন ২০২৪, রবিবারদোয়ারাবাজারে টানাবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল ক্রমশ প্লাবিত হওয়ায় বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত ৩ দিন ধরে টানা বর্ষণ ও মেঘালয় থেকে নেমে আসা ঢলে উপজেলার সুরমা, চেলা, চলতি, মরা চেলা, খাসিয়ামারা, মৌলা, কালিউরি, ধূমখালিসহ উপজেলার সকল নদী-নালা হাওর ও খাল-বিলের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সীমান্তের ওপার থেকে বয়ে আসা খাসিয়ামারা নদীর উপচে পড়া স্রোতে লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া, ইদ্রিসপুর, চৌকিরঘাট বেঁড়িবাধ ভেঙে বিভিন্ন হাওরে পানি প্রবেশ করায় ঘরবাড়ির আসবাবপত্র, গবাদিপশুর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আমনের বীজতলা, আউশ ও সবজি ক্ষেত তলিয়ে গেছে।
বোগলাবাজার ইউনিয়নের ক্যাম্পের ঘাট নামক স্থানে চিলাই নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সুরমা ইউনিয়নের টিলাগাঁও-টেংরাটিলা যাতায়াতের রাস্তা বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। মহব্বতপুর বাজার-লিয়াকতগঞ্জ বাজার সড়কে নোয়াপাড়া নামকস্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে উপজেলা সদরের সঙ্গে লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ২৮টি ও সুরমা ইউনিয়নের ৫টি গ্রামসহ সীমান্তের লক্ষাধিক মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে। বাংলাবাজার ইউনিয়নের পেকপাড়া, চৌধুরীপাড়া, মৌলারপাড়, চিলাইপাড়, পুরান বাঁশতলা গ্রামের অনেক ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে ক্ষয়ক্ষতির হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। লক্ষ্মীপুর ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম বলেন, খাশিয়ামারা নদীর উপচে পড়া স্রোতে আমার ইউনিয়নে নোয়াপাড়া, ইদ্রিসপুর ও চৌকির ঘাট নামক স্থানে ৩টি ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে, প্লাবিত হচ্ছে বেশ কিছু গ্রাম। শুকনো খাবার ও নিরাপদ পানির জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করেছি।
সুরমা ইউপির চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ বলেন, পাহাড়ি ঢলে খাশিয়ামারা নদীর প্রচণ্ড স্রোতে ইউনিয়নের কিছুসংখ্যক বাড়িঘরে পানি উঠেছে। তাদের জন্য শুকনো খাবার ও নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করা হবে। বোগলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মিলন খাঁন জানান, ক্যাম্পেরঘাট গ্রামের সাবেক বিজিবি ক্যাম্পের পাশে চিলাই নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে বোগলাবাজার ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পুকুরের মাছ ও বাড়ি ঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি। অপরদিকে দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়নের বড়বন্দ, টেবলাই, মাইজখলা, বাঘরা, পরমেশ্বরীপুর, বীরসিংহ গ্রামগুলোও বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।