রাজনীতি
সিলেট বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হলেন জি কে গউছ
স্টাফ রিপোর্টার, নবীগঞ্জ থেকে
(৫ মাস আগে) ১৫ জুন ২০২৪, শনিবার, ৮:০১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৬:২৪ অপরাহ্ন
হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব জিকে গউছকে সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয় । আলহাজ্ব জি কে গউছ ১৯৮৪ সালে হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বের মধ্যদিয়ে রাজনীতি শুরু করেন। পরে তিনি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮৭ সালে ছাত্রদল হবিগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। ৫ বছর তিনি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৪ সালে হবিগঞ্জ পৌর যুবদলের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৯৫ সালে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৯৬ সালে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। বলিষ্ট নেতৃত্বের মাধ্যমে তিনি যুবদলকে সু-সংগঠিত করে জেলা সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০৩ সালে যুবদলের কেন্ত্রীয় সহ-সমবায় বিষয়ক সম্পাদক হন। ২০০৪ সালে তৎকালিন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমানের উপস্থিতিতে ঢাকাস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জেলার প্রতিটি থানা ও পৌর কমিটির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের গোপন ভোটে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১১ সালে ২য় দফায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন। পরে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হন। ২০১৬ সালে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মনোনীত হন। রাজনীতির পাশাপাশি আলহাজ্ব জি কে গউছ একজন সফল জনপ্রতিনিধি হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০৪ সালে প্রথম হবিগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। একাধারে ৩ বার পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৩ (হবিগঞ্জ সদর, লাখাই ও শায়েস্তাগঞ্জ) আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে অংশ নিতে গিয়ে দলীয় সিদ্ধান্তে আলহাজ্ব জি কে গউছ মেয়রের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে ২০টি মামলায় ১৫১৭ দিন কারাভোগ করেন। নতুন দায়িত্ব নিয়ে রাজপথের পরীক্ষিত নেতা আলহাজ্ব জিকে গউছ বলেন, দলের হাইকমান্ড আমার প্রতি আস্থা রেখে দায়িত্ব দিয়েছে । আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। সিলেট বিএনপিকে সংগঠিত এবং দলের চেয়ারপার্সন কারানির্যাতিত বেগম খালেদা জিয়াসহ নেতৃবৃন্দের মুক্তি ও অবৈধ দখলদারিত্ব থেকে দেশকে মুক্ত করার আন্দোলন বেগবান করে প্রতিদানের সর্বাত্বক চেষ্টা করব। অচিরেই গণতান্ত্রের বিজয় সুনিশ্চিত মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনেক বছর পর বি এন পি একটা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে