রাজনীতি
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সরকার বিষোদগার করছে: ফখরুল
স্টাফ রিপোর্টার
(৭ মাস আগে) ১৩ জুন ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৪:৪১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৮ পূর্বাহ্ন
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সরকার বিষোদগার করছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজকের এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্নোত্তর পর্বে বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত তারেক রহমানসহ ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ১৫ জন সাজাপ্রাপ্ত আসামী পলাতক থাকার যে তথ্য সংসদে তুলে ধরেছেন- তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে’ এ বিবৃতি দেন ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী চক্র দীর্ঘদিন ধরে সুপরিকল্পিতভাবে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। আর সেজন্যই চক্রান্তমূলকভাবে ২১শে আগস্টের মামলায় জড়িত করা হয়েছে তাকে। বাংলাদেশে আইনের শাসনের অনুপস্থিতিতে সত্যের জন্য, সম্মানের জন্য, আত্মমর্যাদার জন্য সুশীল ভদ্রলোকদের সমাজে টিকে থাকাকে অসম্ভব করে তোলা হয়েছে। স্বার্থান্ধতা, ঔদ্ধত্য, অসহিষ্ণুতা ও মহাদুর্নীতিকে পর্দার আড়ালে রেখে সরকার এখন তারেক রহমানকে বিষোদগার করছেন।
তিনি বলেন, ২১শে আগস্টের বোমা হামলা মামলায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তারেক রহমানসহ বিএনপির কয়েকজন নেতৃবৃন্দকে যুক্ত করা হয়েছে। তারেক রহমানের ভাবমূর্তিকে বিনষ্ট করার এটি একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। জাতীয়তাবাদী নেতৃত্বকে দুর্বল এবং গণতন্ত্রকে বিপন্ন করতে বর্তমান আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর তারেক রহমানের নাম চার্জশিটে ঢোকানো হয় নিজেদের মতাদর্শের অবসরপ্রাপ্ত একজন কর্মকর্তাকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে তাদেরই আন্দোলনের ফসল ১/১১ এর সরকারের সময়সহ দুই দফা তদন্ত ও চার্জশিটে তারেক রহমানের নাম না থাকার পরেও তাকে জড়িত করা সম্পূর্ণরূপে ডামি আওয়ামী সরকারের চরম আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ। বিপর্যস্ত রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব ও নাগরিক স্বাধীনতাকে বর্তমান দশায় উপনীত করার জন্যই তারেক রহমানের নামে অসংখ্য মিথ্যা মামলায় বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে সাজা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চারিদিক থেকে ব্যর্থ আওয়ামী সরকার রাজনৈতিক বিরোধের ছায়াকে প্রলম্বিত রাখতে চান অশুভ উদ্দেশ্যে। সুশাসন ও ন্যায়বিচার থাকলে লুটেরা, টাকা পাচারকারী এবং ক্ষমতাঘনিষ্ঠ ঋণখেলাপীদের আইনের আওতায় শাস্তি হতো। অথচ তারাই আজ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ডামি সরকার জনপীড়ক ও অত্যাচারী বিচারশুন্যপ্রশাসন ও আইন বিভাগ দিয়ে গণতন্ত্রকামী নেতাকর্মীদের নিষ্ঠুরভাবে দমন করছে। যখন সরকারের ঘনিষ্ঠজনদের কলঙ্কিত দুর্নীতি প্রকাশ পাচ্ছে এবং দুর্নীতির মহামারীতে ক্ষমতার সাথে সংশ্লিষ্ট বড় বড় কর্মকর্তাদের অভিনব দুর্নীতির সংবাদ ভাইরাল হচ্ছে তখন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারের হুমকি গভীর চক্রান্তের অংশ।
ফখরুল বলেন, জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতীক ও চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রধান নেতা তারেক রহমানকে গ্রেপ্তারের হুমকি গণতন্ত্রকামী জনগণের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ ঘোষণা বলে আমি মনে করি। আমি বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তারের হুমকির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
কথা সত্য ।