দেশ বিদেশ
প্রণোদনা রহিত করলে বাধাগ্রস্ত হবে বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিনিয়োগ
স্টাফ রিপোর্টার
১৩ জুন ২০২৪, বৃহস্পতিবার২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে পূর্বের অনেক প্রণোদনা রহিত করা হয়, যা বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাস্তবায়ন ও অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য বড় অন্তরায় বলে মনে করছে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ। শিল্পপ্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন, ২০১০ অনুযায়ী সরকারি ও বেসরকারি খাতে স্থাপিত সকল অর্থনৈতিক অঞ্চলে স্থাপিত শিল্প ইউনিট ১০ বছরের কর অবকাশ সুবিধা পায়। ঘোষিত বাজেটে বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলে এই কর অবকাশ সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাছাড়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের ভেতরে ও বাইরে একই প্রতিষ্ঠান কর্তৃক একাধিক শিল্প ইউনিট পরিচালনা করতে পারে, তবে সেক্ষেত্রে আলাদা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার বিধান রয়েছে। দেশি ও বিদেশি বেশ কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান বলবৎ আইন অনুযায়ী তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে কিন্তু বাজেটে উক্ত সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এতে করে ভবিষ্যতে স্থাপিত শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা কার্যক্রম অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প ইউনিট কর্তৃক আমদানিকৃত মূলধনী যন্ত্রপাতি, যন্ত্রাংশ ও নির্মাণ উপকরণ আমদানিতে শুল্কাদি অব্যাহতি রয়েছে। যা প্রত্যাহার করে অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরের শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ন্যায় ১% কর ধার্য করা হয়েছে। এতে করে অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে। এ ছাড়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়ন কাজে ব্যবহার্য পণ্য আমদানিতে শুল্ক, রেগুলেটরি ডিউটি, সমপূরক শুল্ক এবং মূল্য সংযোজন কর অব্যাহতি ছিল কিন্তু তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এতে নতুন কোনো অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে কেউ আগ্রহ দেখাবে না। ফলে শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বিদেশি বিনিয়োগ ব্যাহত হবে। এতে আরও বলা হয়, অর্থনৈতিক অঞ্চলভুক্ত শিল্প ইউনিট কয়েকটি শর্তসাপেক্ষে সর্বোচ্চ ২০০০ সিসি সম্পন্ন ২টি গাড়ি শুল্কমুক্তভাবে আমদানি করতে পারতো। কিন্তু উক্ত শুল্ক অব্যাহতি সুবিধাও প্রত্যাহার করে শুধু কাস্টমস ডিউটি মওকুফ করা হয়েছে। এভাবে প্রণোদনা ঘোষণা করে পরবর্তীতে বিনিয়োগ ও শিল্প স্থাপনের পর তা প্রত্যাহার করা কতোটা যুক্তিসঙ্গত? সকল অর্থনৈতিক অঞ্চল, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪২ নং আইন)-এর ধারা ৫-এর অধীন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) কর্তৃক অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে ঘোষিত ও লাইসেন্স প্রাপ্ত। তাই বেজা কর্তৃক লাইসেন্স প্রদত্ত বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪২নং আইন) ধারা ০৪ এর উপধারা (গ) তে উল্লিখিত অর্থনৈতিক অঞ্চল ও উক্ত ধারার অন্যান্য উপধারাতে উল্লিখিত অর্থনৈতিক অঞ্চলের ধরনের মধ্যে কোনো পার্থক্য করার অবকাশ নাই।