বেনজীর ও তার পরিবারের আরও ২৫ একর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে থাকা আটটি ফ্ল্যাট ও ২৫ একর ২৭ কাঠা জমি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা বেসরকারি সিটিজেন টেলিভিশন ও টাইগার ক্রাফট অ্যাপারেলস লিমিটেডের শেয়ার জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন। দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর মানবজমিনকে বলেন, বেনজীর আহমেদের ৪টি দলিলের স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করার আদেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া দুটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার জব্দের নির্দেশও দিয়েছেন আদালত। তিনি আরও বলেন, বেনজীর আহমেদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছে দুদক। তৃতীয় দফায় তাদের নামে বাড্ডা ও আদাবরে আটটি ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ২৪ কাঠা জমি, বান্দরবানে ২৫ একর জমি ও উত্তরায় তিন কাঠা জমি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া সিটিজেন টেলিভিশন ও টাইগার ক্রাফট অ্যাপারেলস লিমিটেডের শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর আগে দুই দফায় বেনজীর ও তার পরিবারের নামে গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুরে ৬২১ বিঘা জমি, ১৯টি কোম্পানির শেয়ার, গুলশানে ৪টি ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। এ ছাড়া ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব এবং তিনটি বিও হিসাব (শেয়ার ব্যবসার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত।
গত ৬ই জুন বেনজীরের পরিবারের সদস্যদের গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট রক্ষণাবেক্ষণ ও দেখভালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)কে দায়িত্ব দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুরে তাদের যেসব কৃষিজমি রয়েছে, সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে জেলা দুটির কৃষি কর্মকর্তাদের। মৎস্য ও প্রাণীর খামার দেখভালের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে জেলার প্রাণিসম্পদবিষয়ক কর্মকর্তাকে। তবে বেনজীর আহমেদের সম্পদ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চলমান অনুসন্ধানের মধ্যেই গোপালগঞ্জের খামার থেকে উধাও হয়ে গেছে গবাদিপশু। ডুমরাসুর গ্রামে অবস্থিত খামার থেকে একরাতেই সব গরু সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বিশালাকার এই খামারে এখন সুনসান নীরবতা। খামারের ভেতর কিছু খড় ছাড়া আর কিছুই নেই।