খেলা
এক বিন্দুতে দাঁড়িয়ে তিন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা
স্পোর্টস ডেস্ক
১২ জুন ২০২৪, বুধবার
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অন্যতম সফল দল ইংল্যান্ড। যুগ্মভাবে সর্বোচ্চ দু’বারের চ্যাম্পিয়ন তো বটে, ফাইনালও খেলেছে তিনবার। ইংলিশদের মতো সর্বোচ্চ তিনবারের ফাইনালিস্ট শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানও। দুই দলের শোপিসেও আছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তবে এবারের বিশ্বকাপ সাবেক তিন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে মিলিয়ে দিয়েছে এক বিন্দুতে। গ্রুপ পর্ব শেষ হওয়ার আগেই শঙ্কা জেগেছে তাদের নিয়ে। সুপার এইটে যেতে পারবে তো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন এই তিন দল?
সমীকরণ এখন এমন অবস্থায় দাঁড়িয়েছে, একটু পা ফসকালেই একেবারে গভীর খাদে পড়ে যেতে হবে তাদের। অর্থাৎ বিদায়। দুই ম্যাচ যেতেই তাই এখন ‘ভাগ্যের’ ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে এই তিন দলকে। শুরু থেকে অঘটনের যে পূর্বাভাস পাওয়া গিয়েছিল, সেটিই যেন এখন একের পর এক ঘটতে শুরু করেছে। ডালাসে সুপার ওভারে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হারের পর রোববার নিউ ইয়র্কে ভারতের কাছে লো স্কোরিং ম্যাচে জয়ের আশা জাগিয়েও অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে পাকিস্তান। সুপার এইটে যেতে এখন পাকিস্তানকে মেলাতে হবে নানা সমীকরণ। বাবর আজমদের বিদায়ঘণ্টা প্রায় বেজে গেলেও কাগজে-কলমে কিছু আশা আছে এখনো। তার জন্য ‘এ’ গ্রুপে এখন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বাকি দুই ম্যাচেও জয় কামনা করতে হবে তাদের। রোহিত শর্মারা যদি পরের ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়, তবে লাভ পাকিস্তানের। সেই সঙ্গে তাদের কানাডাকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে বাড়িয়ে নিতে হবে নেট রানরেট। ১৬ই জুন হারাতে হবে আয়ারল্যান্ডকেও। আর হার কামনা করতে হবে যুক্তরাষ্ট্রের। মার্কিনিরা যদি ভারতের বিপক্ষে হারেও, আর আইরিশদের বিপক্ষে জয় পায়, তবে কোনো প্রার্থনাই কাজে আসবে না পাকিস্তানের। একই সমীকরণের সামনে শ্রীলঙ্কাও। ‘ডি’ গ্রুপে প্রথম দুই ম্যাচে হেরে এখন ফিরতি টিকিট কাটার পথে লঙ্কানরা। নেপাল ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জিতলেও তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের দিকে। ‘এ’ গ্রুপে সবার তলানিতে লঙ্কানরা। তথৈবচ অবস্থা ইংল্যান্ডেরও। বৃষ্টিতে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে পয়েন্ট ভাগাভাগির পর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে সংকটে পড়ে গেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে এসে নকআউট পর্বে যেতে পারেনি ইংল্যান্ড। এবার কি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও একই ভাগ্য বরণ করতে হবে তাদের? ‘বি’ গ্রুপ থেকে পরের রাউন্ডে যেতে হলে ওমান ও নামিবিয়াকে হারাতেই হবে তাদের। বড় জয়ে বাড়িয়ে নিতে হবে নেট রানরেট। কামনা করতে হবে স্কটিশদের বিপক্ষে অজিদের জয়। স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে যদি অস্ট্রেলিয়া গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়, আর ইংল্যান্ড পরের দুই ম্যাচ জিতলে তাদের পয়েন্ট হবে ৫। তিন ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে আপাতত পরের রাউন্ডের আশায় স্কটিশরাও। তবে ইংল্যান্ড-স্কটল্যান্ডের পয়েন্ট সমান হলে নকআউটের টিকিটের জন্য দুই দলের নেট রানরেটের হিসাব কষতে হবে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে হেরে কঠিন সমীকরণের সামনে পড়ে গেছে নিউজিল্যান্ডও। ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মতো তারা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন নয়, তবে ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা আছে। সেই কিউইরা যদি বৃহস্পতিবার সকালে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হেরে বসে, তবে পড়ে যাবে গর্তে। বাকি দুই ম্যাচে আফগানরা ক্যারিবীয়দের কাছে যদি হারে আর পাপুয়া নিউগিনিকে হারায়, তবে কোনো আশাই থাকবে না কেন উইলিয়ামসনদের। তবে চারদলের এত সব সমীকরণ ভেস্তে দিতে পারে বৃষ্টি। যুক্তরাষ্ট্রে যেভাবে বৃষ্টির আনাগোনা, কোনো কারণে একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হলেই সব আশার আলো নিভে যেতে পারে তাদের।