রাজনীতি
১৪ দলীয় জোট চাওয়া-পাওয়ার জোট নয়: আমু
স্টাফ রিপোর্টার
(১ বছর আগে) ৪ জুন ২০২৪, মঙ্গলবার, ৯:৫৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:২৮ অপরাহ্ন

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন,জোটের সমস্যা সমাধানে ঈদের আগে আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হবে। ১৪ দল ঐক্যবদ্ধ থাকবে এবং ঈদের পর জোটগতভাবে ইতিবাচক কর্মসূচি দেয়া হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর ইস্কাটনে নিজ বাসায় জোটের বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি। আমির হোসেন আমু বলেন, জোটের ভবিষ্যত কর্মপন্থা নির্ধারণে মঙ্গলবারের বৈঠক হয়েছে। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই ১৪ দল সাম্প্রদায়িক শক্তি ও আন্তর্জাতিক বলয়ের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি আদর্শিক জোট। এটা কোনো চাওয়া-পাওয়ার জোট নয়। সেই আদর্শের জোট হিসেবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছি। আজকে দেশি ও বিদেশি ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করার জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দল আছে, থাকবে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করবে। কারণ, আমরা মনে করি- আদর্শিক যে সংঘাত, সেই সংঘাতের শক্তিরা শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত, সেটা মোকাবিলা করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়-সিন্ডিকেট আছে। যদি সিন্ডিকেট থেকে থাকে এবং সরকারের জানা থাকে-তাদের বিষয়ে সরকারের সক্রিয় ও কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া উচিত। যাতে দ্রব্যমূল্য নিয়ে জনগণ যে অসুবিধায় আছে, তার সুরাহা হয়, তার জোর দাবি জানাচ্ছি। আগামী দিনে ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণা দিয়ে আমির হোসেন আমু বলেন, আপনারা স্থির থাকতে পারেন ১৪ দল ছিল, আছে এবং থাকবে। যে শক্তির বিরুদ্ধে ১৪ দল গঠিত হয়েছিল, সেই শক্তি এখনও তৎপর, ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত এবং থাকব। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে সরকার তৎপর। দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ হলে শাস্তি হবে। এ ব্যাপারে আমাদের বক্তব্যের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। এটা রাজনৈতিক ব্যাপার না। আপনারা বিব্রত কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, যারা দোষী, ধরা পড়বে, শাস্তি পাবে। তার জন্য আমরা বিব্রত হবো কেন? ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবসময় ১৪ দল অবস্থান নিয়েছে। এবারো যে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে- তার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান সুস্পষ্ট। এই দুর্নীতি রোধ করতে না পারলে সরকারের যে অর্জন রয়েছে, তা ক্ষুন্ন হবে। সেটা বেনজীর হোক, আজিজ হোক। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টি-জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
পাঠকের মতামত
আওয়ামী লীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ,এবং লীগের অন্যান শাখা-প্রশাখাী নেতা-কর্মীরা সবাইতো এক এক টা আঙ্গুল ফোলে কলাগাছ হয়ে গেছে আর শরিকরা তাদের হকের কথা বলিলে আপনারা রাজনীতির সুরে অনেক কথা বলেন যাহা তাদের পেট ভরে না।
চাওয়া পাওয়া না থাকলে একদিন টিকবেনা জোট ।
Theek bolechhen!