রকমারি
১৩ বছর অসুস্থতার ভান, ৬ কোটি টাকা সরকারি সাহায্য নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ!
মানবজমিন ডিজিটাল
(১ বছর আগে) ৮ জুলাই ২০২২, শুক্রবার, ৮:১৫ অপরাহ্ন
বৃদ্ধা নাকি ১৩ বছর ধরে শয্যাশায়ী। নড়াচড়া করতে পারেন না। বিছানাতেই রাত-দিন-বছর কাটে। তাই সরকারের কাছে চান সাহায্য। আদালতের শরণাপন্ন হন। অতঃপর সাহায্য মেলে। তার তো চিকিৎসা করার কথা। কিন্তু তা না করে তিনি দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়াচ্ছেন সাহায্য নিয়ে।
এমনই এক ঘটনা নজর কেড়েছে অনেকের। দিন কয়েক আগে ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, তার নাম ফ্রান্সিস নোবেল। নামটি নোবেল হলেও আসলে তার কাজটি নোবেল বা মহৎ কিছু নয়।
২০০৫ থেকে ২০১৮ সালে হার্টফোর্ডশায়ার কান্ট্রি কাউন্সিলে ফ্রান্সেস এই মর্মে দাবি করেন যে, তার চিকিৎসার খরচ লাগবে প্রচুর। তাই আদালতে ‘ডিরেক্ট পেমেন্ট প্যাকেজ’ দাবি করেন তিনি। ফ্রান্সেস নোবেলের আবেদন গ্রহণ করে আদালত। এভাবে গত ১৩ বছর ধরে প্রায় ৬ কোটি টাকা সাহায্য পেয়েছেন তিনি। কিন্তু ফ্রান্সেস এই টাকা দিয়ে ঘুরে বেড়ালেন বিদেশ। কিছু টাকা দেন তার মেয়ে এবং জামাইকে। নিজে ভ্রমণ করতে থাকলেন কানাডা, সান ফ্রান্সিসকো, বস্টন থেকে শুরু করে আয়ারল্যান্ড। থাকতেন বিলাসবহুল সব হোটেলে।
যেহেতু তার আবেদন অনুযায়ী তিনি অসুস্থ তাই তার দেখাশোনা করার জন্য তার মেয়েও পেতেন সরকারী অনুদান। বেশ চলছিল। শয্যাশায়ীর অভিনয় করে মাসে থোক বরাদ্দ ঢুকতো তার অ্যাকাউন্টে। তাই দিয়ে মেয়ে জামাইকে নিয়ে বৈভবের জীবন কাটাতেন ফ্রান্সিস। কিন্তু এইভাবে প্রতারণা আর কতদিন! এক দিন পোষ্যকে নিয়ে ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন বৃদ্ধা। প্রতিবেশীরা তাকে দেখে অবাক। যিনি নিজেকে শয্যাসায়ী দাবি করে এতো টাকা হাতিয়ে নিলেন তিনি কিনা দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন? খবর যায় প্রশাসনে। এই ঘটনাকে বিচারপতি রিচার্ড ফস্টার ‘নজিরবিহীন প্রতারণা’ বলে উল্লেখ করেন। কিন্তু আদালতের নির্দেশে তদন্ত শুরু হতেই দেশ ছাড়েন তিনি। মেয়ে-জামাইকে নিয়ে পাড়ি দেন জার্মানিতে। গত মাসেই তাকে প্রায় পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এখন ৬৬ বছরের প্রতারককে জার্মানি থেকে ইংল্যান্ডে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে পদক্ষেপ করছে প্রশাসন।