রাজনীতি
বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে মির্জা ফখরুলের বাণী
স্টাফ রিপোর্টার
(৮ মাস আগে) ২১ মে ২০২৪, মঙ্গলবার, ১০:২১ অপরাহ্ন
বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার রাতে এক বার্তায় তিনি বলেন, বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে আমি সকল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ভাই-বোনকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। তাদের সকলের সুখ, শান্তি ও দীর্ঘ জীবন কামনা করছি।
মির্জা ফখরুল বলেন, বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক মহামতি গৌতম বুদ্ধ অহিংসা, সমবেদনা ও মানুষে-মানুষে গভীর সম্প্রীতির বাণী প্রচার করে গেছেন। মহামানব বুদ্ধের শিক্ষা নিজেকে করুণা ও দয়ার জীবন—যাপন করতে প্রেরণা যোগায়। এই ঝঞ্জা বিক্ষুদ্ধ পৃথিবীতে গৌতম বুদ্ধের শিক্ষায় শান্তনা ও আনন্দ পাওয়া যায়। গৌতম বুদ্ধ বলেছেন, হিংসা দিয়ে হিংসাকে জয় করা যায় না, বরং শরণ নিতে হয় অহিংসার। শান্তি, সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও মানব প্রেম সকল ধর্মের মর্মবাণী। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আজও বিশ্ব সমাজে শান্তি ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠায় গৌতম বুদ্ধের বাণী অতীব প্রাসঙ্গিক।
তিনি বলেন, মহামানব গৌতম বুদ্ধ ত্যাগের মধ্য দিয়ে সুখ আহরণে এক অনন্য দৃষ্টান্ত। সকল মায়াবী বন্ধন উপেক্ষা করে চলার পথের সকল প্রতিকুলতাকে সহ্য করে তিনি বোধিজ্ঞান বা বুদ্ধত্ব লাভ করেন। বুদ্ধত্ব লাভের মাধ্যমে তিনি জগতের সকল প্রাণীর কল্যাণ, সুখ ও মঙ্গলের অমরবাণী প্রচার করেছেন। ন্যায় ও অহিংসাই হচ্ছে তার বাণীর মূল প্রতিপাদ্য।
ফখরুল বলেন, আমরা জানি, গৌতম বুদ্ধ সমাজের ঐক্য-সংহতি প্রতিষ্ঠার জন্য নতুন ধর্মাদর্শ প্রচার করেছিলেন। মানুষের নীতি, আদর্শ, ভালোবাসা এবং সকল স্তরের মানুষের কল্যাণের জন্য মঙ্গল সূত্রের বাণী প্রচার করেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন একটি সুখী-সমৃদ্ধময় আলোকিত সমাজ যেই সমাজে কোন ধরণের হিংসা-প্রতিহিংসা থাকবে না, থাকবে না কোন ধরণের সংঘাত সহিংসতা। তিনি জীবনের সর্ববিধ ক্লেশ থেকে মুক্তির উপায় বের করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি সকল বাধা-বিপত্তির মধ্যেও আমাদের দীর্ঘ প্রত্যাশিত গণতন্ত্র, শান্তি, ও নিরাপদ আশ্রয় ফিরে আসবেই। আসুন আমরা এই দিনে সকলে দল, মত, ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায় নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষের ঐক্য ও আত্মীয়তাবোধ সৃষ্টি করি এবং নাগরিকদের স্বাধীনতা ও যথাযথ মর্যাদা রক্ষার ব্যবস্থা করি। সর্বোপরি ত্যাগে, উদারতায় ও মহত্ত্বতায় উন্নত সুখময় জীবন এবং সবধরনের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সংকীর্ণতামুক্ত সমাজ ও বিশ্বজনীন শান্তি প্রতিষ্ঠা করি, শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমার এ দিনে আমরা সেই শপথ ও প্রতিজ্ঞায় আবদ্ধ হই। বুদ্ধ পূর্ণিমা সফল হোক। বিশ্বে শান্তি বিরাজ করুক।
তিনি আরও বলেন, সর্বোপরি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শনেই এদেশের সকল বর্ণ, ধর্মীয় সম্প্রদায় ও নৃগোষ্ঠী সমূহ একত্রীভুত হয়। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদই সকলকে একই বন্ধনে আবদ্ধ করে। পরস্পরের মধ্যে শুভেচ্ছা ও সৌহাদ্যর্ সৃষ্টি করে। আমি বুদ্ধ পূর্ণিমার সাফল্য এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী সকলের সুখী ও শান্তিময় জীবন কামনা করি।