প্রথম পাতা
যে কারণে জেনারেল আজিজের নিষেধাজ্ঞায় চাঞ্চল্য
স্টাফ রিপোর্টার
২২ মে ২০২৪, বুধবারসাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার খবরে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে দেশ ও দেশের বাইরে। ওয়াশিংটন থেকে খবরটি আসে মঙ্গলবার (বাংলাদেশ সময়) ভোররাতে। তখন বাংলাদেশের প্রায় সব মানুষ ঘুমে। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে আলোড়ন সৃষ্টিকারী খবরটি চাউর হতে থাকে। জেনারেল আজিজ ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতি নিয়ে বরাবরই আলোচিত। যুক্তরাষ্ট্র অনেক আগেই তার ওপর নজর রাখছিল। ডনাল্ড লু’র সাম্প্রতিক ঢাকা সফরে সবাই ধারণা করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বোধহয় সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়ে গেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র যে তার নীতিতে অটল থাকে এটা তারই প্রমাণ। বিভিন্ন মহলে বৈঠকে ডনাল্ড লু আরও কিছু বিষয় ইঙ্গিত করে গেছেন। তার সফরের পর সরকারি মহলে যথেষ্ট উচ্ছ্বাস ছিল। বলা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু সাবেক সেনাপ্রধানের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আসায় নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে।
নানা সূত্রের খবর, পরবর্তী নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বিদেশে যারা টাকা পাচার করেছেন তাদের ওপর। যদিও এর সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য এখনো নেই। তবে এখানে এটা উল্লেখ করা অপ্রাসঙ্গিক হবে না যে, ডনাল্ড লু তার বিবৃতিতে সুনির্দিষ্টভাবে দুর্নীতির বিষয়টি উত্থাপন করে গেছেন। তার ভাষ্যটি ছিল এমন ‘আজকে আমি মন্ত্রীদের সঙ্গে দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ে আলোচনা করেছি। সরকারি কাজের স্বচ্ছতা নিশ্চিতে আমরা (দুই দেশ) একসঙ্গে কাজ করতে পারি। এর মাধ্যমে যেসব কর্মকর্তা দুর্নীতি করেছে তাদের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে পারি।’ লু’র সফরের রেশ কাটতে না কাটতেই দুর্নীতির দায়ে জেনারেল আজিজ এবং তার পরিবারকে যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করার ঘোষণা এলো। দেশটির ফরেন অপারেশন অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রিসিয়েশন অ্যাক্ট ৭০৩১ (সি) এর আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে তার প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে বাইডেন প্রশাসন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওই ঘোষণার মধ্যদিয়ে যুক্তরাষ্ট্র নতুন একটি উইন্ডো ওপেন করলো। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো জেনারেলের ওপর এমন নিষেধাজ্ঞা জারির পর জনমনে নানা প্রশ্ন, কৌতূহল। সবচেয়ে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হচ্ছে- যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে আর কার কার বিরুদ্ধে কী কী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে? স্মরণ করা যায়, জেনারেল আজিজের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বাতিল হয় ২০২১ সালে। তখন তার পরিবারের সদস্যদের ভিসা বাতিলের খবর ছিল না। ২০২১ সালের ১১ই ডিসেম্বর মানবজমিনই প্রথম রিপোর্টটি প্রকাশ করে। সেই খবরে উল্লেখ ছিল সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজকে যুক্তরাষ্ট্রে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তার মার্কিন ভিসা বাতিল হয়েছে। এক পত্র মারফত জেনারেল আজিজকে যুক্তরাষ্ট্র সেই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছে। কাতারভিত্তিক টেলিভিশন নেটওয়ার্ক আল-জাজিরায় জেনারেল আজিজের দুর্নীতি ও নানা অনিয়মের খবর প্রচারের পর যুক্তরাষ্ট্র সিদ্ধান্তটি নিয়েছে বলে ধারণা করা হয়েছিল।
ফেব্রুয়ারিতে (২০২১) ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ নামে রিপোর্টটি প্রচার করে আল-জাজিরা। এতে সামি (ছদ্মনাম) নামের হাঙ্গেরিতে বসবাসরত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তির সহায়তায় হারিস আহমেদ নামের এক ‘আসামি’র পরিচয় প্রকাশ করা হয়। হারিস বুদাপেস্টে ‘মোহাম্মদ হাসান’ নামে বসবাস করছিলেন। তিনি আজিজ আহমেদের ভাই। আহমেদ পরিবারের বাকি সদস্যদের বিরুদ্ধেও নানা অপকর্মের অভিযোগ প্রকাশ করা হয়। আজিজ আহমেদ অবশ্য তখন সেই সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। জার্মান সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলেকে পরবর্তীতে দেয়া সাক্ষাৎকারে তার ভিসা বাতিল সংক্রান্ত মানবজমিনের খবরকেও অসত্য বলে দাবি করেছিলেন। জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বাতিল এবং তাকে দেশটিতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা নিয়ে মানবজমিনের রিপোর্টের সত্যতা আজ স্টেট ডিপার্টমেন্টের ঘোষণায় পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলো। উল্লেখ্য, জেনারেল আজিজ আহমেদ ২০২১ সালের ২৪শে জুন অবসরে যান। বর্তমানে স্বস্ত্রীক ঢাকাতেই রয়েছেন। তার ৩ ছেলে, একজন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত। অপর দুই ছেলের একজন ব্যাংকার, অন্যজন দুবাইতে কানাডিয়ান একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন।
অব.জেনারেল আজিজকে শাস্তি দিয়ে অন্য সার্ভিং জেনারলদের শতর্ক করা হলো।
এটা গুরুত্বপূর্ণ কোনো খবর নয়। মিডিয়া ঢাক-ঢোল পিটিয়ে এটা মহাগুরুত্বপূর্ণ করেছে এবং এখনো করছে। কোনো দেশ যদি কাউকে ভিসা না দেয় তাতে কী ক্ষতি??? আমেরিকায় যেতেই হবে এমন কোনো কথা আছে???
একটা সার্বভৌম দেশ অন্য দেশের যেকোনো একজন নাগরিক কে তাদের দেশে প্রবেশ করতে না দিতেই পারে। বাংলাদেশ সহ সকল সার্বভৌম দেশেরই এই ক্ষমতা রয়েছে। মিস্টার আজিজ এখন অন্য নাগরিকদের মত অবশরপ্রপ্ত বাংলাদেশের একজন নাগরিক। সরকারি কোন প্রতিষ্ঠানের বা সরকারের প্রতিনীধি নয় । সে যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোন দেশে ঢুকতে পারল বা না পারলো তা নিয়ে অন্যদের মাথা ঘামানোর কোন দরকার বা অবকশ আছে কি?এই আলোচনা তাকে শুধু এই ভাবতে উৎসাহিত করবে যে "আমি তো তাহলে খুবই একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি! "
যে নারী আজিজ, বেনজীর, হারুন দের মত দুধর্ষ সরকারি ক্যাডার তৈরি করে অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় টিকে আছে, যে এসব লোকদের ব্যবহার করছে এবং এর বিনিময়ে এসব লোকদের দুর্নীতি, টাকা পাচার করার সুযোগ করে দিচ্ছে তাকে নিয়ে কেন কেউ প্রশ্ন করে না?? শুধু ক্যাডার না আমলা ও কিছু ব্যবসায়ীর মাধ্যমে লুটপাট করছে। তার বিচার কে করবে???
এটা আমেরিকার আইওয়াশ। কারন আজিজ এখন কোনো ফ্যাক্টর না। সে অবসরপ্রাপ্ত। যদি রানিং কোনো বড়মাপের কারো উপর আসতো তাহলে বুঝা যেতো। তারা বিরোধিদের মনোভাব কাছে টানার চেস্টা করছে। কারন বাংলাদেশের ৯০% জনগণ আমেরিকার আচরণে ক্ষুব্ধ।
জেনারেল আজিজ এখন সাধারণ নাগরিক,উনাকে নিয়ে আমেরিকার এত মাথা ব্যথা কেন? নাকি আমেরিকার কোন ধান্ধা ছিল যেটা আজিজ রাজি হন নি। এ রকম কত জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নিবে? আমেরিকা মানেই বিনোদন,সব হাস্যকর। ফলাফল শুন্য।
নানা সূত্রের খবর, পরবর্তী নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বিদেশে যারা টাকা পাচার করেছেন তাদের ওপর। আমেরিকা যদি এই রকম ব্যবস্থা নেয় তাহলে আমাদের দেশের সামগ্রিক মঙ্গল হবে
এইটা মৃত ব্যক্তির কবারের উপর আঘাত করার মত সিদ্ধান্ত সে চাকরি থাকা অবস্থায় দেশে-বিদেশে কেউ তাকে কিছুই বলল না এখন রিটায়ার্ড হওয়ার পরে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কিন্তু এখন লাভ কি গণতন্ত্র আর ফিরে আসবেনা
চোরের মায়ের বড় গলা সব শিক্ষিত চোর
তারা আমেরিকা আর ইউরোপ না গেলে কি হবে। টাকা আছে সমস্যা নাই। জনগন মরুক তাতে কার কি???
Innocent peoples are in jails, but criminals are roaming free.
তোরা যে যা বলিস ভাই, আমার সোনার হরিণ চাই।