রকমারি
মা-বাবার বিরুদ্ধে মামলা
'অনুমতি না নিয়েই কেন জন্ম দিয়েছ?'
মানবজমিন ডিজিটাল
(৩ মাস আগে) ১৬ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৬:০৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৫০ অপরাহ্ন
কাস থিয়াজ
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির বুকে ঘটে গেলো এক অদ্ভুত ঘটনা। মা-বাবার বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিয়েছেন এক নারী। ঘটনার সূত্রপাত কাস থিয়াজ নামে এক তরুণীর টিকটক ভিডিও থেকে। সেখানে কাসের দাবি, “আমার জন্মের আগে মা-বাবা আমার সঙ্গে একবারও কথা বলেননি। জানতে চাননি আমি আদৌ জন্ম নিতে চাই কিনা। সেই জন্যই মামলা দায়ের করেছি। কারণ মা-বাবাই আমাকে জন্ম দিয়েছেন, বড় করে তুলেছেন। কিন্তু আমার জন্মের ব্যাপারে আমারই মত ছিল না। জানতাম না যে আমাকে বড় হতে হবে, নিজের জন্য একটা চাকরি খুঁজতে হবে।”
থিয়াজ এক ভিডিওতে তাঁর নিজের সন্তান থাকা সত্ত্বেও কেন মা–বাবার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন, তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, সন্তানদের দত্তক নিয়েছেন। সুতরাং তাঁর সম্মতি ও গর্ভধারণের কোনো বিষয় ছিল না। তিনি বলেন, ‘এরা যে এখানে এসেছে, এতে আমার কোনো ভুল নেই। কিন্তু আপনি যদি এখন অন্তঃসত্ত্বা হন, তাহলে একজন চিকিৎসকের মাধ্যমে গর্ভে থাকা অনাগত সন্তানকে জিজ্ঞেস করা উচিত, সে আসলে পৃথিবীর বুকে আসতে চায় কি না।’
মার্কিন টিকটকারের কথায়, “আমার জীবনের এখন একটাই উদ্দেশ্য। ছোটদের শেখাতে হবে তারা যেন নিজেদের মা-বাবার বিরুদ্ধে ঠিক এই পদক্ষেপটাই করে। মা-বাবার বিরুদ্ধে মামলা করলে আর কষ্ট করে চাকরি করতে হবে না। থিয়াজ বলেন, 'আমি আমার বাবা-মার বিরুদ্ধে মামলা করেছি, কারণ তারা আমাকে গর্ভে এনেছেন, আমাকে জন্ম দিয়েছেন এবং আমাকে বড় করেছেন। অথচ তারা আমাকে জিজ্ঞেস করেননি, আমি এখানে থাকতে রাজি কি-না।'
কাসের এই ভিডিও আলোড়ন ফেলে দিয়েছে নেটদুনিয়ায়। অনেকেই কাসের মানসিক সুস্থতা কামনা করেছেন। শিশুদের মনে খারাপ প্রভাব পড়বে কাসের এই কাণ্ড। ঠিক একইভাবে ভারতে ২৭ বছর বছরের এক ব্যক্তি তার বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। তার অভিযোগ ছিল -তার অনুমতি না নিয়ে বাবা-মা তার জন্ম দিলেন কেন?
মামলাকারী ব্যক্তির নাম রাফায়েল স্যামুয়েল। তিনি মুম্বাইয়ের বাসিন্দা এবং একজন ব্যবসায়ী। তিনি বিবিসিকে বলেন, এভাবে পৃথিবীতে সন্তান নিয়ে আসা অন্যায়, কারণ তাদেরকে সারা জীবন ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
সূত্র: এনডিটিভি
ওনাদের মতো সন্তান জন্ম দিয়ে নি সন্দেহে বাবা মারা ভুল করেছেন।
আমার মতামত না নিয়ে এধরনের ভিডিও প্রচার আপত্তিকর। বিষয়ের আকর্ষনে আমি পাঠ করে মর্মাহত। উস্কানিমূলক এ ভিডিও আমার সময় এবং মনস্তাত্ত্বিক ক্ষতি করেছে।আমি আইনগত পদক্ষেপ নিতে চাই;কিন্তু আর্থিক সামর্থ নেই। কোন আইনী সহায়তা সংস্থা দয়া করে এগিয়ে আসবেন কি? বেলায়েত হোসেন গণমাধ্যম কর্মী
সব দ্বায়িত্বজ্ঞানহীন বাবা-মা'র বিরুদ্ধে কেস করা উচিত। বিবাহ বিচ্ছেদ ছেলে মেয়েদের উপর অসহ্য যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়ায় সেটা তাদের জীবন ধংস করে দিতে পারে। তবে তা স্বার্থপর বাবা-মার জন্য যন্ত্রনা থেকে নিস্কৃতি বা স্বেচ্ছাচারিতার নতুন সুযোগ এনে দেয়। সেখানে ছেলেমেয়েরা অসহায়।