রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে আশাবাদী বাংলাদেশ ও গাম্বিয়া

রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে আশাবাদী বাংলাদেশ ও গাম্বিয়া।
শুক্রবার গাম্বিয়ার বিচারমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেল দাওদা এ জালো ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের মধ্যকার বৈঠকে ওই আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। গাম্বিয়ার বানজুলে ওআইসির ১৫তম শীর্ষ  সম্মেলনের পূর্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের সাইড লাইনে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠক হয়। আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া বানজুল সামিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশ নেয়ার কথা ছিলো। কিন্তু সরকার প্রধান শেষ সময়ে এসে তাঁর সফরটি বাতিল করেছেন। ফলে সামিটসহ গাম্বিয়ায় ওআইসির সমুদয় বৈঠকে
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সরকারি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গাম্বিয়ার বিচারমন্ত্রী মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মানবিক বিবেচনায় বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলা পরিচালনার জন্য অর্থসহায়তা দেয়ার জন্যও তিনি বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য বাংলাদেশের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ ও ভবিষ্যৎ প্রতিবন্ধকতাগুলো তুলে ধরেন। রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে তিনি বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের তাদের নিজভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন শুরু করার প্রতিও গুরুত্বারোপ করেন। গাম্বিয়ার মন্ত্রী দাওদা এ জালো বৈঠকে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার বর্তমান চিত্র তুলে ধরেন এবং মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলার অভিযোগ প্রমাণের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

একই সঙ্গে তিনি এ মামলা পরিচালনায় প্রয়োজনের তুলনায় অপর্যাপ্ত তহবিলের বিষয়টি তুলে ধরে ওআইসিতে গাম্বিয়া সভাপতি থাকাকালে সদস্যরাষ্ট্রগুলোর আরও সহযোগিতা পাওয়ার বিষয়ে আশা প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এ মামলা পরিচালনার জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় আইনি সাহায্য ও সাক্ষ্য প্রমাণ প্রদানের আশ্বাস দেন। এ ছাড়া বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বর্তমান অবস্থা সরেজমিনে দেখার জন্য গাম্বিয়ার মন্ত্রী দাওদা এ জালোর আগ্রহকে স্বাগত জানান।