অনলাইন
চীনের দক্ষিণাঞ্চলে ধসে পড়লো মহাসড়ক, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬
মানবজমিন ডিজিটাল
(২ সপ্তাহ আগে) ২ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১১:৫১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:২০ অপরাহ্ন
দক্ষিণ চীনে মহাসড়ক ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬। উদ্ধারকারী দলগুলো ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, "২রা মে সকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ৩৬ জন মারা গেছে এবং ৩০ জন আহত হয়েছে। ''বুধবার নাগাদ চীনের গুয়াংডং প্রদেশের মেইঝো শহরের একটি হাইওয়ের প্রায় ১৮ মিটার অংশ ধসে যায়। অন্তত ২৩টি গাড়ি ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে যায়। ফলে সেখানে বহু মানুষ ভাঙা অংশের নিচে আটকে যান। এই বিপত্তির খবর পেয়েই দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু হয়।
মেইঝো শহরের প্রশাসন এখনও পর্যন্ত ৩৬ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। গত কয়েক দিন ধরে চীনে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। তবে সেই সঙ্গেই জোরকদমে উদ্ধারকাজ চালানোর ফলে অনেককেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী সিসিটিভি বলেছে যে, ঘটনাটি একটি “প্রাকৃতিক ভূতাত্ত্বিক বিপর্যয় অবিরাম ভারী বৃষ্টির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে”। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বেশ কয়েকজন স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, তারা উপর থেকে গাড়ি পড়ার শব্দ শুনেছেন এবং তারপরে একটি বিশাল বিস্ফোরণ হয়েছে। মহাসড়কটি উভয় দিক থেকে বন্ধ ছিল এবং উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করার জন্য অগ্নিনির্বাপক ও খনি উদ্ধার বিশেষজ্ঞসহ প্রায় ৫০০ জন উদ্ধারকারী কর্মী ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছিল।
ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িগুলোকে একটি বিশালাকার ক্রেন দিয়ে কাদা থেকে টেনে তোলা হচ্ছে। উদ্ধারকারীরা কুকুর ও জীবন শনাক্তকারী যন্ত্র দিয়েও অনুসন্ধান করছিল।
দমকল বিভাগের একজন কর্মকর্তা চীনা মিডিয়াকে বলেছেন, অবিরাম বৃষ্টির পাশাপাশি ঘটনাস্থলে নুড়ি এবং মাটি গলে যাওয়ার কারণে অনুসন্ধান প্রচেষ্টা জটিল হয়ে উঠেছে। ঘটনাটি সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে গুয়াংডং-এ চরম আবহাওয়ার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত একাধিক বিপর্যয়ের মধ্যে সর্বশেষ ঘটনা। গত মাসে প্রচণ্ড বর্ষণে প্রদেশের বিভিন্ন অংশে বন্যার সৃষ্টি হয়। এর কারণে চারজন নিহত হয় এবং ১০০,০০০ এরও বেশি বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। গত সপ্তাহে গুয়াংজু শহরের মেগাসিটির অংশে একটি টর্নেডোতে পাঁচজন নিহত হয়েছিল। বছরের এই সময়ে সাধারণত প্রত্যাশিত বৃষ্টিপাতের তুলনায় অনেক বেশি ভারী বর্ষণ হয়েছে এবং এই অতিবৃষ্টি জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত।
সূত্র: আলজাজিরা