অনলাইন
ছাত্রলীগ নেতার হুমকি
'রাজশাহীতে পা দিলে তোর লাশও খুঁজে পাওয়া যাবে না'
রাবি প্রতিনিধি
(২ সপ্তাহ আগে) ২ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৯:৪১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১১:১২ পূর্বাহ্ন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) এক ছাত্রলীগ নেতার রুম দখল ও 'রাজশাহীতে পা দিলে তোর লাশ খুঁজে পাওয়া যাবে না' এমন হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে আরেক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। হত্যার অভিযোগ এনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করতে দেখা যায় ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতাকে।
ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতা তাজবিউল হাসান অপূর্ব। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখ্দুম হল শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি। তিনি রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর অনুসারী ছিলেন। এদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মো. মিনহাজুল ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী এবং হবিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও হলের বর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা। মিনহাজুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী।
এ ঘটনা ছাড়াও মিনহাজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত আছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তেলাপোকার ভয় দেখিয়ে পাঁচ বছর ধরে ক্যান্টিনে ফ্রিতে খাওয়া, সিট থেকে বৈধ শিক্ষার্থীদের নামিয়ে দেয়া এবং চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তবে তার বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত যথাযথ কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগকে।
ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, আমি দীর্ঘদিন হল ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। গত ৩-৪ মাস কিছু কারণে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত আছি।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, আমি আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। বর্তমান শাহ মখ্দুম হল ছাত্রলীগের সভাপতি, তারপরও আমার সঙ্গে নবগঠিত ছাত্রলীগ নেতাদের এমন আচরণ আশা করিনি। খুব তাড়াতাড়ি সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত তুলে ধরে ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করবো। ভালো থাকুক আমার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতা অপূর্ব বলেন, "আমার পড়াশোনা শেষ না হতেই মিনহাজের নেতৃত্বে আমার রুমে তালা মারা হয়। এ নিয়ে আমি মিনহাজকে কল দিলে সে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। 'বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতির হয়ে সকল হলের নেতৃত্ব দিচ্ছি, আমি যা চাই তাই করতে পারবো' বলে আমাকে জানায় মিনহাজ। আমি এ নিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ভাইকে কল দিলে উনিও উল্টো মিনহাজের হয়ে কথা বলেন এবং 'বিষয়টি কোন পর্যন্ত যায়, আমি দেখবো' বলে আমাকে হুমকি দেন। রাজশাহীতে পরীক্ষা দিতে আসলে আমাকে হত্যার হুমকি দেয় মিনহাজ। এ নিয়ে রাজশাহীতে এসেই সংবাদ সম্মেলন করবো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মিনহাজুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো রকম সংশ্লিষ্টতা নেই। যদি সে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেই থাকে তাহলে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, "আমি বিষয়টি নিয়ে পুরোপুরি অবগত না, তবে কিছুটা শুনেছি। আমি ক্যাম্পাসের বাহিরে আছি। ক্যাম্পাসে গিয়ে বিষয়টি শুনে সমাধান করার চেষ্টা করবো।
তাহলে কি সকল গুমের সাথে ছাত্রলীগের লোক জরিত!! যার কারনে তারা গুমের হুমকি দেয়?
মরার খবর কখন কবে পাওয়া যাবে তাই বলেন কারন মরলেই বাংলাদেশে জাতি আনন্দ উৎসবের অপেক্ষায় আছে ।
যখন বনে সিংহ থাকেনা তখন কুত্যায় কুত্যায় কামড়াকামড়ি করে। ব্যাপারটা ভালোই।
সন্ত্রাসীর সাথে সন্ত্রাসীর যুদ্ধ। যে যাকে নাই করে দিতে পারে। তাদের রাজনৈতিক আদর্শই সেরকম।
Its really good one dog is biteing another dog