দেশের মানুষ নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে আছে জানিয়ে দলটির সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, জয় আমাদেরই হবে। যে অন্যায়, অপশাসন আমাদের ঘাড়ে চেপে বসেছে তা সরাতে হবে আমাদেরকেই। ওরা দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও পাচার করে জিনিসপত্রের দাম বাড়ায়, সেই ভোগান্তি হয় সাধারণ জনগণের। বিভিন্ন উন্নয়নের নামে লুটপাট হয়, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চাল, ডাল, তেলের দাম বাড়িয়ে লুটপাট হয়। প্রতিদিন প্রতিজন মানুষের জন্য নির্ধারিত বাজেট থেকে ১০০ টাকা নানা বাহানায় লুটপাট করলে তার পরিমাণ ১৭০০ কোটি টাকা। সচেতন হয়ে এর বিপক্ষে রুখে না দাঁড়াতে পারলে এই দুর্নীতি বেড়েই চলবে। আমরা তা করতে দেবো না। গতকাল বিকালে নাগরিক ঐক্য ঢাকা মহানগরের নেতাকর্মীবৃন্দের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আরও একটি নির্বাচন তারা মিথ্যা ভোট খেলা দেখিয়ে নিজেদের পক্ষে করে নিয়েছে। মানুষ তাদের ভোট দেয়নি।
তারা বিপদে আছেন। দেশে-বিদেশে প্রশ্নের সমুখীন হয়েছেন। রিজার্ভ তলানিতে পড়ে গেছে। তথাকথিত প্রধানমন্ত্রী, তার সাঙ্গরা দুর্ভিক্ষের কথা বলেছেন, তা যদি সত্যি হয়, তাহলে উন্নয়নটা কী হলো? এর দায় আওয়ামী লীগকে নিতে হবে। দেশের মানুষ আপনাদের ক্ষমা করবেন না। তিনি বলেন, নাগরিক ঐক্য সত্যের কথা সবসময় বলেছে। সত্যের জন্য আন্দোলন করেছে, করবে। আমরা ক্ষমতায় আসলে দরিদ্র মানুষকে বাঁচিয়ে রাখতে মাসে ৬ কোটি দরিদ্র মানুষের প্রত্যেককে ১ হাজার করে টাকা দেবো, এর আওতা বাড়বে। একজন মানুষের চিকিৎসা করতে পুরো পরিবার দরিদ্র হয়ে পথে বসে যাবে না। চিকিৎসার ব্যয় কমাবো, গরিবদের ভর্তুকি ও বিনা ফিতে চিকিৎসা দেবো। ধনী-দরিদ্র সকলকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে, কর্মব্যবস্থা করে অগ্রসর জাতি গড়তে সকল ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাবো। প্রকৃতি ও পরিবেশের যে নির্বিচার ধ্বংসাত্মক রূপান্তর করা হয়েছে তার জন্য পরিবেশবান্ধব নীতি গ্রহণ করবো। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও তার ভোটচোর সরকার পালাবে, ক’জন পারবে তা জানি না। আমাদের দেশকে আমাদের সন্তানদের জন্য সুন্দর করতে হলে পথে নামার তো কোনো বিকল্প নেই। নাগরিক ঐক্যের আগামীর কার্যক্রমে দেশবাসীকে এগিয়ে আসতে আহ্বান জানান তিনি। এদিকে ঈদ পুণর্মিলনী সভায় উপস্থিত ছিলেন- দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মমিনুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর কাদির, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম এ কবীর হাসান, সাকিব আনোয়ার, দপ্তর সম্পাদক মহিদুজ্জামান, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় সদস্য আনিসুর রহমান খসরু, ফেরদৌসী সুমি, লাকী বেগম, সারোয়ার হোসেন, রাজ্জাক সজীব, ফিরোজ হাসান রনি, রোকেয়া ইসলাম কেয়া, এলিজা নুসরাত, সাম্য শাহ, রাশেদুল হাসান।