বাংলারজমিন
নবীনগরে সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধ স্হাপনা
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
(১ সপ্তাহ আগে) ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৮:৫৩ অপরাহ্ন
নবীনগরে কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে সওজের জায়গায় অর্ধশত অবৈধ স্হাপনা তুলে একদিকে রাস্তাকে সংকুচিত করা হচ্ছে। ফলে রাস্তায় তীব্র আকার যানজট, অন্যদিকে খালটি বর্তমানে সরু হয়ে গিয়ে পরিবেশ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা পরিবেশবিদদের। অন্যদিকে যাত্রীদের সুবিধার্থে সওজের অর্থে নির্মিত যাত্রী ছাউনিটিও অবৈধভাবে দখল করে সেখানে দোকানপাট নির্মাণ করা হয়েছে।
আর এই জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে স্থানীয় ইউপি প্রতিনিধি ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা কর্মীদের মধ্যে লক্ষ লক্ষ টাকা ভাগ বাটোয়ারা করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি জায়গা বেদখল করার ঘটনাটি উপজেলার জিনদপুর ইউনিয়নের বাঙ্গরা বাজারের দক্ষিন পাশের খালের জায়গাটি।
নবীনগর থেকে কোম্পানিগঞ্জ সড়কের ডান পাশে সরকারি খালসহ সড়ক ও জনপথের জায়গায় আরসিসি পিলার এবং টিনশেডের অবৈধ স্হাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কটি'র শেষাংশের পশ্চিম পাশের প্রায় ৩০ ফিট প্রস্থ ৩০০ ফিট দৈর্ঘ্যের জায়গা দখল করে অর্ধশত পাকাঘর ও টিনশেডের অবৈধ স্হাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। যার ফলে বাঙ্গরা বাজারে যানজট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে করে খালটি বর্তমানে সরু হয়ে নৌকা চলাচল সহ পরিবেশ দূষণের আশঙ্কা রয়েছে। রাস্তা থেকে গাইড ওয়াল পর্যন্ত বেদখলের এক মহোৎসব চলছে। যাত্রী ছাউনিটি সেলুন ঘর আর গোডাউনে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে অনেক দোকান ঘরের কাজ শেষ পর্যায়ে।কিছু দোকান আরসিসি পিলার দিয়ে ঢালায় কাজ ও বেশ কিছু টিনশেডর দোকানের নির্মাণ কাজ চলছে।
এলাকাবাসী ও সওজের সূত্রে জানা যায়, এ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের আট মাস পরে আবারও সেখানে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ চলছে। স্হাপনাগুলো নির্মাণের বাঁধা দিতে সরকারি কোন পদক্ষেপ আজ পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। অভিযোগ উঠেছে বেদখলকারী দোকানের বৈধতা পাওয়ার জন্য স্থানীয় ইউপি জনপ্রতিনিধি ও ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন ব্যক্তিদের মোটা দাগে টাকার বিনিময় করা হচ্ছে।
সওজের জায়গায় অবৈধভাবে দখলের কথা স্বীকার করেছেন আবু হানিফ ও আলামিন সহ একাধিক দখলদার ব্যক্তি। তারা বলেন, এর পূর্বেও দুই-তিনবার আমাদের দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছিল। এবারও দখল করে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে হচ্ছে। তবে সওজের প্রয়োজনে যে কোন সময় আমরা দখলকৃত জায়গা ছেড়ে দেবো।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান ও বাজার কমিটির সভাপতি রবিউল আউয়াল রবি বলেন, ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনে দখল করে নিজ দায়িত্বে ব্যবসা বাণিজ্য করার জন্য দোকান নির্মাণ করছেন। তবে এর আগেও দুই তিনবার এই দোকান পাটের উচ্ছেদ অভিযান হয়ে করা হয়েছিল । আর আমি ব্যবসাহীদের কাছ থেকে কোন টাকা নেইনি ।
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি, উচ্ছেদ অভিযানের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর সওজ কর্তৃপক্ষ ম্যাজিস্ট্রেট এর জন্য আবেদন করেছে। অতএব সপ্তাহখানেক এর মধ্যেই সওজ কর্তৃপক্ষকে নিয়ে আমরা উচ্ছেদ অভিযানে বের হব।