বাংলারজমিন
তাহিরপুরে ফসল রক্ষা বাঁধের টাকা লুটেপুটে খাচ্ছে প্রকল্প সচিব মনির
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
৫ মে ২০২৪, রবিবারসুনামগঞ্জের তাহিরপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের সদস্য সচিব মনির হোসেনের বিরুদ্ধে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে ঘুষ গ্রহণসহ অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি এসবের প্রতিকার চেয়ে ও দুর্নীতির বিষয়গুলো অধিকতর তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশন সিলেটে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন উপজেলার রতনশ্রী গ্রামের তানজিম হাসান সোহাগ নামে এক ভুক্তভোগী।
ভুক্তভোগী সোহাগ জানান, তিনি মাটিয়ান হাওরের ৩৯ নম্বর ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজের (পিআইসি) সভাপতি। এ বছর ৩৯ নম্বর পিআইসিতে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ২১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। তিনি বাঁধের কাজ শেষ করেছেন, কিন্তু অবশিষ্ট টাকা পিআইও মনির হোসেন দিচ্ছেন না। যারা তাকে ঘুষ দিয়েছেন তাদের টাকা সহজেই পেয়ে যাচ্ছেন। আর যারা দিচ্ছেন না তারা দিনের পর দিন অফিসের বারান্দায় ঘুরছেন। জানা যায়, প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী প্রথম দিকের বরাদ্দের ৪ লাখ ৮২ হাজার টাকা পেয়ে বাঁধে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করেন বাঁধ প্রকল্পের (পিআইসি) সভাপতি ভুক্তভোগী সোহাগ। পরে দ্বিতীয় ধাপে বরাদ্দের টাকা আনতে গেলে উপ-সহকারী মনির হোসেন কাজের অগ্রগতি ভালো না বলে ভয়ভীতি দেখান এবং তার নিকট ঘুষ দাবি করেন। একপর্যায়ে প্রকল্পের বরাদ্দের অর্থ ছাড়াতে বাধ্য হয়ে তাকে ঘুষ দেন তিনি। মোট বরাদ্দের ২১ লাখ টাকার মধ্যে দুই ধাপে ১২ লাখ টাকা ইতিমধ্যে পেয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে মনির হোসেন বলেন, তার বিরুদ্ধে পিআইসি সভাপতিদের অভিযোগের শেষ নেই। এসব অভিযোগ শুনতে শুনতে তিনি অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। ইস্টিমেট অনুযায়ী যেটুকু কাজ হয় তা সার্ভেয়ার প্রতিবেদনে দেন, সে অনুযায়ী বরাদ্দের অর্থ ছাড় দেন তিনি।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার জানান, অভিযোগ যেহেতু দুদকে করা হয়েছে তারা তাদের মতো করে বিষয়টি দেখবেন। তিনি বলেন, তাদের কাছে কেউ এমন অভিযোগ করলে বিষয়টিতে সে অনুযায়ী তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবেন। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক জাবেদ হাবিব বলেন, অভিযোগ হাতে পেলে এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।