বিশ্বজমিন
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করবেন নেতানিয়াহু
মানবজমিন ডেস্ক
২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবারসেনাবাহিনীর একটি ইউনিটের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাখ্যান করার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এর আগে রিপোর্ট প্রকাশ হয় যে, পশ্চিমতীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরাইলের নেটজাহ ইয়েহুদা ব্যাটালিয়নের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তাদের সহায়তা কর্তনের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এর জবাবে নেতানিয়াহু রোববার বলেন, এর বিরুদ্ধে আমার সর্বশক্তি ব্যবহার করে লড়াই করবো। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এর আগে সংবাদভিত্তিক সাইট এক্সিওস খবর দেয় যে, দখলীকৃত পশ্চিমতীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরাইলের সেনাবাহিনীর নেটজাহ ইয়েহুদা ব্যাটালিয়নকে টার্গেট করবে যুক্তরাষ্ট্র। বিবিসি মনে করছে, নিয়ম লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য কোনো অভিযোগ যদি বিদেশি কোনো ইউনিটের বিরুদ্ধে আসে তাহলে তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেয়। এ বিষয়ে গত সপ্তাহে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের কাছে জানতে চাওয়া হয়। তার কাছে প্রশ্ন করা হয়, দখলীকৃত পশ্চিমতীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্সেসের (আইডিএফ) ইউনিটকে দেয়া মার্কিন সামরিক সহায়তা কর্তন করা হবে কিনা। জবাবে ব্লিনকেন বলেন, সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে তা দেখতে পাবেন বলে মনে করি।
শনিবার এক্সেওস যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে রিপোর্টে বলে যে, কয়েকদিনের মধ্যে নেটজাহ ইয়েহুদা ইউনিটের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। এতে বলা হয় ওই সূত্র তিনটি এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল। এতে বলা হয়, পশ্চিমতীরে নিয়ম লঙ্ঘনের কারণে এমন ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর মধ্যে একটি ঘটনা হলো- ২০২২ সালের জানুয়ারিতে পশ্চিমতীরে তল্লাশি চালায় ইসরাইলি সেনারা। সে সময় ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ওমর আসাদের (৮০) মুখে গজ ঢুকিয়ে দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্র এ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ফৌজদারি ও স্বচ্ছ তদন্ত দাবি করে। পরে আইডিএফ আসাদের মৃত্যুর জন্য দুঃখ প্রকাশ করে। এ জন্য নেটজাহ ইয়েহুদা কমান্ডারকে তিরস্কার করা হয়। আরও বলা হয়, দুই বছরের জন্য ইউনিটের সিনিয়র পদে দায়িত্ব থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে দুই সেনা সদস্যকে। তবে তাদের বিচার করা হবে না। আইডিএফ আরও বলে যে, ওমর আসাদের মৃত্যুর কারণ আগে থেকে অসুস্থতা। তার পরিবারের সদস্যদের বেশির ভাগই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। কিন্তু এ নিয়ে মামলা ক্লোজ হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের নিন্দা জানান তারা। যুক্তরাষ্ট্র যে অভিযোগ এনেছে তার বেশির ভাগই সংঘটিত হয়েছে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলে ৭ই অক্টোবরে রকেট হামলার আগে। আইডিএফের কোনো ইউনিটকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত করতে হলে তা হতে হবে ‘লেহিজ আইনের’ অধীনে।
Israel is a sick country and Netaneahu is a criminal and killer.