বিশ্বজমিন
ইসরাইলকে পরাস্ত করতে ফিলিস্তিনিদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান এরদোগানের
মানবজমিন ডেস্ক
২২ এপ্রিল ২০২৪, সোমবারফিলিস্তিনের গাজায় নিজেদের বিজয়ী করতে সেখানকার জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। শনিবার রাজধানী ইস্তাম্বুলে গাজার যোদ্ধাগোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়ের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পর সাধারণ গাজাবাসীর প্রতি এ আহ্বান জানান তিনি। তুর্কি প্রেসিডেন্টের কার্যালয় উদ্ধৃত করে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে কাতারভিত্তিক অনলাইন আল জাজিরা।
এতে বলা হয়েছে, গত বছর ৭ই অক্টোবর গাজায় ইসরাইলি নৃশংস হামলা শুরুর পর মধ্যপ্রাচ্যে যে অস্থিতিশীলতা শুরু হয় তা ঠেকাতে ব্যর্থ হলেও আঙ্কারা বার বার গাজায় ইসরাইলের অনুপ্রবেশের নিন্দা জানিয়েছে। সম্প্রতি গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলের শহর রাফায় ইসরাইলি বাহিনীর (আইডিএফ) স্থল হামলায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। বিশেষ করে গত শুক্রবার ইরানের ইস্পাহান শহরে ইসরাইলের হামলার খবরের পর মিশর সীমান্ত ঘেঁষা অঞ্চল রাফায় উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই উত্তেজনার মধ্যে গাজাবাসীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকা কঠিন হলেও তাদের একতা ধরে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন এরদোগান। হামাস নেতার সঙ্গে বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে এরদোগান বলেন, ফিলিস্তিনিদের জন্য এখন একতা ধরে রাখা কঠিন। তবে তেলআবিবকে পরাস্ত করতে এবং তাদের নৃশংসতার দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে ফিলিস্তিনের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
ইরান-ইসরাইলের সাম্প্রতিক ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে ইসরাইল গাজায় তাদের নৃশংসতাকে দূরে অন্যদের দৃষ্টির বাইরে সরিয়ে রাখতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক ইস্যু গাজায় নির্বিচার হামলাকে সমর্থন করে না। এক্ষেত্রে যেকোনো উপায়ে গাজায় পূর্ণ নজর জারি রাখা জরুরি।
এর আগে ২০১১ সালে গিলাদ শালিত নামে ইসরাইলের এক সেনাসদস্যকে আটক করে হামাস। সে সময়ও হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় তেলআবিব। তখনকার অস্থিতিশীলতা ঠেকাতে হামাস এবং ইসরাইলের মধ্যে মধ্যস্থতা করে তুরস্ক। সেই ২০১১ সাল থেকেই তুরস্কে অফিস খুলেছে হামাস। মাঝে মাঝেই তুরস্ক সফর করেন ইসমাইল হানিয়ে। তখন থেকেই হামাসের রাজনৈতিক নেতা হানিয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে আসছেন এরদোগান।