অনলাইন
কর্মকর্তাদের তথ্য দিতে অনীহা রয়েছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার
(১ সপ্তাহ আগে) ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ৪:৫৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:৩১ অপরাহ্ন
তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, সঠিক তথ্য দেয়ার বিষয়ে আমরা জবাবদিহিতার আওতায় আনতে চাই। রাষ্ট্র পরিচালনায় যারা যুক্ত থাকেন তাদের তথ্য দেয়ার ব্যাপারে কিছুটা অনীহা কাজ করে। আমরা তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে বার্তা দিয়েছি, তথ্য যদি চাওয়া হয় তা দিতে হবে।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির একটি মিলনায়তনে আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ’র সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় এটি আয়োজিত হয়।
মন্ত্রী বলেন, আমরা যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত আছি, মন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে জনগণের পক্ষে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছি। কাজেই জনগণের জানার বিষয় আছে। তথ্য দেয়ার বিষয়ে জবাবদিহি করাটা আমাদের বাধ্যতামূলক। এই চিন্তা প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে জাগ্রত করার চেষ্টা করছি। কারণ যদি তথ্য না থাকে, তখনই অপপ্রচারের সুযোগ তৈরী হয়। কাজেই কিছু ব্যবস্থাপনার পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি। যেন খুবই অল্প সময়ের মধ্যে আমরা আপনাদের কাছে তথ্য পৌঁছাতে পারি।
আরাফাত বলেন, আমাদের একটিই উদ্দেশ্য- গণমাধ্যম থাকবে, মুক্ত বুদ্ধির চর্চা হবে, মুক্ত সাংবাদিকতা হবে, সরকার এবং অথোরিটি ভুলভ্রান্তি করলে তার সমালোচনা হবে। সেগুলো আমরা শুনতে চাই, জানতে চাই, বুঝতে চাই এবং নিজেদের শুধরাতে চাই।
সরকারের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের নিকট সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, সমালোচনার নামে যেগুলো নিন্দা করা হয়, অসত্য তথ্যের মাধ্যমে অপপ্রচার করা হয় সেগুলো আমাদের একসাথে মিলে প্রতিরোধ করতে হবে। কারণ তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং অর্থবহ সমালোচনা যেমন গণতন্ত্রের জন্য একটি দেশ ও সমাজের এগিয়ে যাওয়ার জন্য অপরিহার্য, একইভাবে তথ্যের বিপরীত অপতথ্য সমাজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। সমাজ ধ্বংস হলে আমরা কেউ কিন্তু এখান থেকে রেহাই পাবো না।
প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইন দ্রুত কার্যকর করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি এখন যে পর্যায়ে আছে, আমি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছি- সাংবাদিকদের যতগুলো সংগঠন আছে, সকল সংগঠন থেকে দু’জন করে প্রতিনিধি পাঠাবে এবং তাদেরকে নিয়ে একটি সেল তৈরী করে আলোচনার ভিত্তিতে তাদের বক্তব্যগুলো নিয়ে আমরা সেটাকে ফাইনালাইজ করবো। এরপর দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা সেটি সংসদে নিয়ে আইন পাশ করাবো।