খেলা
এগিয়ে থেকেও খেলতে অস্বীকৃতি মোহামেডানের, আবাহনীকে জয়ী ঘোষণা
স্পোর্টস রিপোর্টার
২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবারশেষ দিনের দুটি ম্যাচের মধ্যে লুকিয়ে ছিল প্রিমিয়ার ডিভিশন হকি লীগের ভাগ্য। সুপার লীগের চারটি করে ম্যাচ শেষে মোহামেডানের পয়েন্ট ছিল ৩৫, আবাহনীর ৩৪। মেরিনার্সও ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে ছিল আবাহনীর সমান্তরালে। দিনের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ পুলিশকে হারিয়ে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে নিজের কাজটি করে রাখে মেরিনার্স। আবাহনী মোহামেডনের ম্যাচ ড্র হলেই শিরোপা উৎসব করবে গেল আসরের চ্যাম্পিয়নরা। আবাহনী জিতলে প্লে অফে মুখোমুখি হবে মেরিনার্সের। আর মোহামেডান জিতলে কোনো সমীকরণ ছাড়াই ২০১৮ সালের পর আবার শিরোপা উঠবে তাদের ঘরে। আবাহনীর সঙ্গে একপর্যায়ে ৩-২ গোলে এগিয়ে ছিল সাদা-কালোরা। কিন্তু ম্যাচের তৃতীয় কোয়ার্টারে অহেতুক মারামারিতে জড়িয়ে খেলতে অস্বীকৃতি জানায় মোহামেডান। এতে আবাহনীকে জয়ী ঘোষণা করেন মাঠের দুই রেফারি। মোহামেডান এক পয়েন্ট এগিয়ে থাকলেও শেষ ম্যাচের আগে খেলার চেয়ে মাঠের বাইরে নজর বেশি ছিলো তাদের। জিমির নিষেধাজ্ঞার ইস্যুতে লীগ বর্জনের হুমকি দিয়ে আগের দিন সংবাদ সম্মেলন করে ক্লাবটি। কাল আবাহনী-মোহামেডানের এই ম্যাচকে ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তা নেয় ফেডারেশন। মওলানা ভাসানি স্টেডিয়ামের মূল ফটকে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ। এদিন দুই দলের কোনো কর্মকর্তাদের ঢুকতে দেয়া হয়নি স্টেডিয়ামে। তাদের স্থান হয় গ্যালারিতে। মোহামেডান তাদের অধিনায়ক রাসেল মাহমুদ জিমির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে না খেলার অবস্থানে ছিল। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হলেও বিজ্ঞপ্তি দিয়ে হকির বৃহত্তর স্বার্থ বিবেচনা করে মোহামেডান অংশ নেয় শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে আফফান ইউসুফ পিসি থেকে গোল করে আবাহনীকে এগিয়ে নেন। সেটি ছিল আবাহনীর উপর্যুপরি দ্বিতীয় পিসি। ম্যাচের ২৪তম মিনিটে পিসি থেকে ব্যবধান বাড়ান পুস্কর খিসা মিমো। তবে তৃতীয় কোয়ার্টারে দারুণভাবে ঘুঁরে দাঁড়ায় মোহামেডান। ছয় মিনিটের ব্যবধানে তিন গোল করে সাদা-কালোদের হাতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এনে দেন মালয়েশিয়ান ফাইজাল বিন সারির। ম্যাচের ৩২তম মিনিটে তার রিভার্স হিটে ব্যবধান কমায় মোহামেডান। ৩৬তম মিনিটে ফাইজাল পিসি থেকে লক্ষ্যভেদ করে ম্যাচে সমতা এনে দেন। দুই মিনিট পর ফের পিসি থেকে গোল করে মোহামেডানকে এগিয়ে নেয়ার পাশাপাশি ফাইজাল হ্যাটট্রিক পূরণ করেন। তৃতীয় কোয়ার্টারের একেবারে শেষদিকে অহেতুক সংঘর্ষে জড়ায় দুই দলের খেলোয়াড়রা। একটি পেনাল্টি কর্নারকে কেন্দ্র করে শুরুতে আবাহনীর আফরানের সঙ্গে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন দীন ইসলাম ইমন। ডাক আউট থেকে মারামারিতে যোগদেন মোহামেডানের অনেকে। এতে মোহামেডানের দীন ইসলাম ইমন ও তানভীর সিয়াম এবং আবাহনীর পুস্কর খিসা মিমোকে লাল কার্ড দেখান ওমানের রেফারি হুসাইন আল হাসানি। দুই লাল কার্ডের প্রতিবাদের মাঠের বাইরে চলে যায় মোহামেডানের খেলোয়াড়রা। ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে আবাহনীকে ৩-০ গোলে জয়ী ঘোষণা করেন মাঠের দুই আম্পায়ার দানিশ দেশনায়েকে ও হুসাইন আল হাসানি।