দেশ বিদেশ
হয়রানির উদ্দেশ্যে নুরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা- গণঅধিকার পরিষদ
স্টাফ রিপোর্টার
১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবারভিন্নমত দমন ও সরকার বিরোধীদের মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি করতে এবং হয়রানির উদ্দেশ্যই গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে দলটি। গতকাল দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে আল-রাজী কমপ্লেক্সে গণঅধিকার পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান। রাশেদ খান বলেন, ঈদ ও নববর্ষের আনন্দের রেশ কাটতে না কাটতেই সরকারের ফ্যাসিস্ট আচরণ শুরু হয়েছে। সংবাদমাধ্যমে আপনারা সকলেই লক্ষ্য করেছেন ২০২২ সালে ছাত্রলীগের এক নেতার করা ভিত্তিহীন একটি মামলায় চট্টগ্রামের আদালত গতকাল নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিলুপ্ত হয়ে সাইবার নিরাপত্তা আইন হলেও ২০২২ সালে নুরুল হক নুরের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তৎকালীন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের কথিত মানহানির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হয়রানিমূলক মামলাটি দায়ের করেছিলেন ছাত্রলীগ নেতা শাহরিয়ার। তিনি বলেন, ভিন্নমত দমন ও সরকার বিরোধীদের মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি করতে ও হয়রানির উদ্দেশ্যই এই ভিত্তিহীন মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
জনবিচ্ছিন্ন ভারতীয় তাঁবেদার সরকার দেশে একদলীয় শাসন স্থায়ী করতে ভিন্নমত নির্মূলে প্রশাসন, আদালতকে দলীয়করণ করে আইনকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। রাশেদ বলেন, একতরফা ডামি নির্বাচনের পূর্বে বিরোধীদের গণগ্রেপ্তার, রাতে আদালত বসিয়ে বিরোধী দলের নেতাদের শাস্তি এবং তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের সরল স্বীকারোক্তিই প্রমাণ করে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ন্যায় আদালতও এখন সরকারের তল্পিবাহকে পরিণত হয়েছে। বিচারব্যবস্থাও কার্যত এখন সরকারের হাতে বাক্সবন্দি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ড. ইউনূসও যার ভুক্তভোগী। তিনি আরও বলেন, দেশ এক গভীর রাজনৈতিক ও ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, গণঅধিকার পরিষদ বরাবরই দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপসহীন। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারতের হস্তক্ষেপ, সীমান্তে হত্যা ও ৫৪ অভিন্ন নদীর ন্যায্য হিস্যা না দেয়ার প্রতিবাদে বাংলাদেশের জনগণ যখন দেশে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়ে ভারতীয় পণ্য বর্জন করছে। গণঅধিকার পরিষদ জনগণের সঙ্গে থেকে সে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে। ভারতীয় তাঁবেদার সরকার গণঅধিকার পরিষদের এই আপসহীন কণ্ঠ থামিয়ে দিতেই নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। নুরুল হক নুর এদেশের মানুষের কাছে এক সংগ্রামী চরিত্রের নাম। হামলা-মামলা করে অতীতেও তার মনোবল দমন করা যায় নি, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেও তার মনোবল দুর্বল করা যাবে না। গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখতে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে বিরোধী দলসমূহের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের আপসহীন যুগপৎ আন্দোলন চলছে, ফ্যাসিবাদের পতন না হওয়া পর্যন্ত চলবে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, সহ-সভাপতি বিপ্লব কুমার পোদ্দার, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম প্রমুখ।