অর্থ-বাণিজ্য
ব্যাংকের নিরাপত্তা, কি করছে সরকারি ব্যাংক
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(১০ মাস আগে) ৪ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৯:৪২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:৩৪ অপরাহ্ন

গত ২৪ ঘণ্টায় বান্দরবানে দেশের তিন ব্যাংক লুটের ঘটনা ঘটেছে। ব্যাংক গুলো হলো- সোনালী, কৃষি ও ইসলামী ব্যাংক। বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে লুটের ঘটনার ২৪ ঘণ্টা না পেরোতে জেলার আরেক উপজেলা থানচির সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের শাখায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার আলাউদ্দিন নগরে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে অর্থ লুটের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে সাইবার অ্যাটাকের মাধ্যমে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা চুরির ঘটনার পর নিরাপত্তা নিয়ে সতর্ক হয়ে উঠে দেশের স্থানীয় ব্যাংকগুলোও। কিন্তু এবারের চুরির মডেল ভিন্ন রকমের। পুরাপুরি সশস্ত্রভাবে। পাহাড়ের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। এলাকায় এলোপাতাড়ি ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এভাবে হামলা হওয়ায় চরম উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে দেশের পুরো ব্যাংকিং খাত। বাংলাদেশে সরকারি, বেসরকারি, বিদেশি ও বিশেষায়িত সব মিলিয়ে ব্যাংক রয়েছে ৬০টির বেশি। আর এ কারণেই ব্যাংকের গোপন বিষয়গুলো যারা দেখভাল করেন তাদের সার্বক্ষণিক নজরদারির আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইটি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অনেক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কিন্তু সশস্ত্র অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের ঠেকাবে কীভাবে।
সাবেক ব্যাংকার মোহাম্মদ নূরুল আমিন জানান, পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এখন অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে। সন্দেহজনক কোনো নির্দেশনা আসলে সরাসরি থানায় ম্যাসেজ দিতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, ব্যাংকে সশস্ত্রভাবে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনা দেখভাল করছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের তথ্যের উপর নির্ভর করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দেশের ব্যাংক স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তফসিলি ব্যাংকগুলোকে গত বছরের ২০শে নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) এক নির্দেশনা জারি করে।
এতে বলা হয়, ব্যাংক স্থাপনার অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ব্যাংক শাখার প্রবেশ পথে, শাখার অভ্যন্তরে, শাখার বাহিরে চতুর্দিকে এবং সকল ধরনের আইটি রুমে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সিসিটিভি, আইপি ক্যামেরা বা স্পাই ক্যামেরা স্থাপন ও ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ ন্যূনতম এক বছর সংরক্ষণ করাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।
তবে এখন থেকে ব্যাংক স্থাপনা ও জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাংকগুলোকে ব্যাংক স্থাপনার (শাখা, উপ-শাখা, নিজস্ব বা ভাড়াকৃত ভবন ইত্যাদি) প্রবেশ পথে, অভ্যন্তরে, বাহিরে চতুর্দিকে স্থাপিতব্য সিসিটিভি, আইপি ক্যামেরা বা স্পাই ক্যামেরা সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ ছাড়া ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ যাতে প্রয়োজনে নিকটস্থ থানা বা পুলিশ পেতে পারে সে বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বলে জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়।