দেশ বিদেশ
ভারতীয় শাড়ির ব্যাপারে যে ব্যাখ্যা দিলেন রিজভী
স্টাফ রিপোর্টার
২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবারবিএনপি নেতাদের স্ত্রীরা ভারতীয় শাড়ি তেমন কেনেন না দাবি করে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বুধবার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আচ্ছা ওরা এতো কিছু করছে, শাল পোড়ায়, তো বউয়ের শাড়িটা পোড়াতে পারে না? ইন্ডিয়া থেকে আনা শাড়ি।’ আমি বলতে চাই, আমাদের বিএনপি নেতারা ইন্ডিয়া থেকে শাড়ি তেমন কেনেন না। গতকাল দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘আমরা বিএনপি পরিবার সেল’-এর উদ্যোগে ‘গুম-খুন-পঙ্গুত্বের শিকার’- পরিবারের সদস্যদের মধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঈদ উপহার বিতরণ উপলক্ষে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপি’র ভারতীয় পণ্য বর্জনের আন্দোলনের সংহতি এবং সম্প্রতি দলটির নেতারদের এ বিষয়ে বক্তব্যে প্রসঙ্গে বুধবার প্রধানমন্ত্রী এক অনুষ্ঠানে বলেন, বিএনপি’র নেতারা যদি বাসায় গিয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান, সেদিন বিশ্বাস করবো আপনারা সত্যি ভারতীয় শাড়ি বর্জন করলেন।’ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, আমার নানার বাড়ি হচ্ছে ইন্ডিয়ায়। বিয়ের পরে একবার গিয়েছিলাম। আমার ছোট মামা একটা শাড়ি দিয়েছিলেন। আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করলাম যে, ওই শাড়িটা কই? আমাদের দেশের মেয়েরা শাড়ি পুরনো হলে সেটা দিয়ে কাঁথা সেলাই করতে দেয়। আমার মিসেস বললেন, কাঁথা সেলাই কবে করেছি। সেটাও ছিঁড়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী বিএনপি নেতাদের কটাক্ষ করে দেশের স্বার্থ নিয়ে তামাশা করেছেন। ভারতীয় পণ্য বর্জনের আন্দোলনের সঙ্গে সকলের সম্পৃক্ত হওয়া উচিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, এ দেশকে স্বনির্ভর হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। আমরা সেই প্রত্যয় সেই আদর্শ নিয়ে কাজ করছি। আমাদের নিজের বোনা যে ফসল, সেটা আরও বেশি করে উৎপাদন করবো, আমাদের মিল-কারখানায় যে শাড়ি তৈরি হয়, সেই শাড়ি আমাদের মেয়েরা পরবে, আমাদের কল-কারখানায় যে লুঙ্গি তৈরি হয়, সেই লুঙ্গি আমাদের দেশের ছেলেরা পরবে। আমরা অন্যের কাছে নতজানু হবো না, অন্যের দ্বারস্থ হবো না। এই জাতীয়তাবাদী চিন্তা থেকে আমাদেরকে কাজ করতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের ভারত নীতির সমালোচনা করে রিজভী বলেন, একটা ডামি সরকার, একটা ডাকাত সরকার, একটা অবৈধ সরকারের পক্ষে যদি একটি দেশ থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে লড়তে হবে না? জনগণ প্রতিবাদ জানাবে না? বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের অবস্থানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আজকে যদি তারা এটুকু বলতো যে, ‘না আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আমরা কোনো দলের পক্ষে না। যে রকম আমেরিকা বলছে, যেটা ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে। সেটা পর্যন্ত তারা (ভারত) বলে নাই। উল্টো ইন্ডিয়ার হাইকমিশনের কর্মকর্তারা বলে দিলেন যে, আমরা এই সরকারের পক্ষে। অতএব আমি মনে করি, অবশ্যই যে সামাজিক আন্দোলন হচ্ছে পণ্য বর্জনের, তার প্রতি সংহতি জানানো ন্যায়সঙ্গত।
পাঠকের মতামত
একটা দেশ একটি দলের পক্ষে সমর্থন করে তার চেয়ে নিকৃষ্ট দেশ ও দল কি? আর হতে পারে।
স্ত্রীর ভারতীয় শাড়ি পোড়ালে রিজভি সাহেব কি বাড়িতে ঢুকতে পারবে ? মনে হচ্ছে বিএনপি এখন পথ হারা পথিক। এই দলের প্রয়োজন তারুণ্যে ভরা একজন চৌকষ নেতা। তাঁদের উচিৎ অতীত থেকে ফিরে এসে বর্তমান অবস্থার উপর ভিত্তি করে দলকে চাঙ্গা করা।
বাংলাদেশের একজন দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে আমাদের সকলের উচিত দেশের পণ্যকে প্রমোট করা। কিন্তু একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে তিনি কিভাবে ভিনদেশী পণ্যের পক্ষে কথা বলেন? এটাই কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা?
এই ব্যাখ্যায় বিজ্ঞতার, বিচক্ষণতার পরিচয় দেখি না। খুবই নিম্নমানের প্রতিক্রিয়া বলে মনে হয়েছে।