দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সম্ভাবনা, ইঙ্গিত মিললো লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কথায়

‘জেল থেকে সরকার চালানো যাবে না’। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা। আবগারি দুর্নীতিকাণ্ডে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট দ্বারা গ্রেপ্তার হওয়া সত্ত্বেও অরবিন্দ কেজরিওয়াল যদি মুখ্যমন্ত্রী থাকেন তাহলে ভারতের রাজধানীতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর।  টাইমস নাউ সামিট ২০২৪ -এ  রাজধানীর বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে ভিকে সাক্সেনা এই মন্তব্য করেন। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, ‘জেল থেকে সরকার চলবে না, এই বিষয়ে আশ্বস্ত থাকতে পারেন সাধারণ মানুষ’।

দিল্লি সরকারের আবগারি নীতির সাথে যুক্ত একটি কথিত মানি লন্ডারিং মামলায় গত  ২১ মার্চ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।  মামলাটিকে ‘বানোয়াট’ এবং ‘মিথ্যে’ বলে অভিহিত করে, আপ- ও স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, কেজরিওয়াল জেলের ভিতরে থেকে সরকার চালাবেন। দিল্লিতে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সঙ্গে এমনিতেই তিক্ত সম্পর্ক শাসক দল আম আদমি পার্টির। একাধিক ইস্যুতে এর আগে কেন্দ্র-রাজ্য দ্বন্দ্ব লেগেছে। বিশেষ করে দিল্লির শাসন  ক্ষমতা কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে টানাপোড়েন সুপ্রিম কোর্ট অবধি পৌঁছয়।

সাক্সেনা টাইমস নাউ সামিটে বলেন, অন্যান্য শহরের তুলনায় রাজধানী দিল্লি কিছু ‘উত্তরাধিকার সমস্যা’- এর কারণে পিছিয়ে ছিল, তবে এটিকে সত্যিই বিশ্বব্যাপী গন্তব্য  হিসাবে গড়ে তুলতে এবং বিকশিত  ভারত-এর লক্ষ্য অর্জনের জন্য গত দুই বছরে সমন্বিত প্রচেষ্টা করা হয়েছিল।

লেফটেন্যান্ট গভর্নরের  প্রতিক্রিয়ায় দিল্লির আপ সরকারের মন্ত্রী অতীশি বলেন, 'সাংবিধানিক বিধান কী? দেশের আইন খুবই পরিষ্কার। আপনার কাছে জিএনসিটিডি আইন রয়েছে যা খুব স্পষ্ট যে আপনি যদি হাউসের সংখ্যাগরিষ্ঠতা উপভোগ না করেন তবে আপনি মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন না।

এই শর্ত প্রযোজ্য নয়। তাহলে, কোন শর্তে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হবে?

অতীশির কথায়,  সুপ্রিম কোর্টও বলেছে যে, অন্য কোনো বিকল্প না থাকলেই রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা যেতে পারে। তার মতে, দেশের আইন খুব স্পষ্ট- রাষ্ট্রপতির শাসন তখনই জারি করা যেতে পারে যখন অন্য কোনও বিকল্প নেই। ৩৫৬ ধারার ইস্যুটি একাধিকবার সুপ্রিম কোর্টে গেছে এবং শীর্ষ আদালত বারবার রায় দিয়েছে যে, রাষ্ট্রপতি শাসন কেবল তখনই জারি করা যেতে পারে যখন রাজ্যের শাসনের জন্য অন্য কোনও বিকল্প নেই।আজ যদি রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করা হয়, তাহলে এটা খুব স্পষ্ট হবে যে, এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। 

অতীশি আরও দাবি করেছেন যে আবগারি নীতি মামলায় যদি একটি স্বাধীন তদন্ত পরিচালিত হত, তাহলে বিজেপি অভিযুক্ত হিসাবে আবির্ভূত হত।

সূত্র : টাইমস অফ ইন্ডিয়া