রাজনীতি
স্বাধীনতা ঘোষণার পাঠক কখনও ঘোষক হতে পারে না: ওবায়দুল কাদের
অনলাইন ডেস্ক
(১০ মাস আগে) ২৬ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবার, ৯:৩৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৮ পূর্বাহ্ন

স্বাধীনতা ঘোষণার পাঠক কখনও ঘোষক হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এতোদিন পরেও স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে বিতর্ক করে। পাঠক ঘোষক হতে পারে না। কে ঘোষক এই বিতর্কের অবসান তখনই হবে, যখন সত্যের অনুসন্ধান করতে যাব। স্বাধীনতা ঘোষণার ম্যান্ডেট ৭০ এর নির্বাচনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুই পেয়েছিলেন।
মঙ্গলবার সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আবুল কাশেম, এম এ হান্নান, অনেকেই ঘোষণা পাঠ করেছেন। সেখানে জেনারেল জিয়াও বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছেন। আজকে এতো বছর পর আমাদের ভাবতে হচ্ছে এ দেশেরই মানুষ, এ দেশেরই অগণতান্ত্রিক সাম্প্রদায়িক শক্তিকে নিয়ে। যারা আমাদের বিজয়, আমাদের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অন্তরায় সৃষ্টি করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আজ আমাদের শপথ বিএনপির নেতৃত্বে যে সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তি বিজয়কে সংহতকরণে বাধা বা অন্তরায় হয়ে আছে, এই অপশক্তিকে আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরাজিত করব, প্রতিহত করব।
ভারতবিরোধিতা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিরোধিতা আগেও হয়েছে, এই বিরোধিতা পাকিস্তান আমলের। যখন কোনো রাজনৈতিক ইস্যু থাকে না, তখনই ভারত বিরোধিতা ইস্যু, এখনো সেটা হচ্ছে। এটা নতুন কিছু না।
পাঠকের মতামত
মানুষের ভোট হরণ কারীদের মুখে "স্বাধীনতা" শব্দটাই শোভা পায় না............. আমরা সব জানি।
যে সকল জনগন নিজের কানে এই ঘোষণা শুনেছেন,তাদেরকে আপনি / আমি ঘোষক কে পাঠক বলে চালাতে পারবেন না, না, না।
তাহলে ৫% ভোট পাওয়া ব্যাক্তিও কখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেনা।
ঘোষণা এবং ঘোষক এর মানেই বোঝেনা। তালগোল পাকানো কথা বলেই নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমান করতে চায়।
পাঠক স্বীকার করেছেন, কিছু দিন পর ঘোষকও স্বীকার করবেন।
তাহলে জেনারেল জিয়া নামক এক ব্যক্তি স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন। পার্থক্য শুধু ঘোষক এবং পাঠক নিয়ে। এবং জেনারেল জিয়ার আগে আরো কেউ কেউ পাঠ করার পরেও জেনারেল জিয়া কর্তৃক পাঠ করার প্রয়োজন হয়ে পড়লো। অর্থাৎ জেনারেল জিয়ার পাঠ করাটাই চূড়ান্ত। বাহ্ বাহ্।